জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে দিরাই শাল্লা আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ড. সামছুল হক চৌধুরীর অনুসারীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে। শোভাযাত্রাটি জগদল ইউনিয়ন ঘুরে করিমপুর ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রাম হয়ে উপজেলা সদরে আসছিল। সেতুটি অতিক্রম করার সময়ে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এতে সেতুতে থাকা পথচারী ও শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী মোটরসাইকেলসহ খাদে পড়ে আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
দিরাই হাসপাতাল সূত্র জানায়, সেতু ভেঙে দূর্ঘটনায় আহত ৫ জন সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। এঁরা হলেন, নগদীপুর গ্রামের গৌছ মিয়ার ছেলে জুবায়ের (২০), রুবেল মিয়ার ছেলে লোকমান (২০), টুক দিরাই গ্রামের মহাকান্ত পালের ছেলে প্রিন্স পাল (১৮), করিমপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে লুৎফর রহমান (৬০) এবং উত্তর চান্দপুর গ্রামের সেলিম আহমেদের শিশু কন্যা ফারিহা (৯)।
আহত লুৎফর রহমান বলেন, আমার নাতনি ফারিহাকে নিয়ে আমার বাড়ি থেকে ওদের বাড়ি উত্তর চান্দপুর গ্রামে যাচ্ছিলাম। আমরা হেঁটে ব্রীজ পাড় হচ্ছি। এমন সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল মিছিল নিয়ে ব্রীজে ওঠলে ব্রীজটি ভেঙে পড়ে। আমার নাতনিসহ নিচে পড়ে যাই। আমার পা ভেঙে গেছে। নাতনিও জখম হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. সামছুল হক চৌধুরী বলেন, আমার শোভাযাত্রাটি জগদল ইউনিয়ন ঘুরে উপজেলা সদরে আসছিলো। পথিমধ্যে এ দূর্ঘটনা ঘটে। তিনি এমন সেতু এলাকায় থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমি ঢাকায় আছি। ফোনে বলে দিয়েছি, আহতদের সবাইকে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের বন্যায় দিরাইয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়। ওই সময়ে ক্রিশ্চিয়ান এইডের সহায়তায় (এনজিও) উত্তরণ ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে চান্দপুর গ্রামের চামটি খালের ওপর ও দিরাই-রজনীগঞ্জ সড়কের জয়নগর অংশে দুটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে। ৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ফুট প্রস্থ করে একই পরিমাপে নির্মিত সেতু দুটির পিলার হিসেবে গাছের মূল ব্যবহার করা হয়। পাটাতন দেয়া হয় কাঠের তক্তা। ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সেতু দুটির উদ্বোধন করেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন ও করিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস। নির্মাণের ১ বছরের মাথায় সেতুটি ভেঙে পড়ে।