সুনামগঞ্জ জামালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী সামিয়া আক্তারকে (২০) গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত একটার দিকে উপজেলার মামুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা স্বামীকে জনতা আটক করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। আটক স্বামীর নাম জামাল উদ্দিন (২২)। তিনি সদর উপজেলার গৌরাঙ্গ ইউনিয়নের ইচ্চারচর গ্রামের আব্দুস ছোবানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ বছরে মার্চ মাসে জামালগঞ্জ উপজেলার ভিমখালী ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম জিলানীর মেয়ে সামিরা বেগমকে বিয়ে করেন জালাল উদ্দিন।
মেয়ের বাবা প্রবাসী হওয়ায় যৌতুকের জন্য প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন জালাল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।
প্রায় মাস খানেক আগে নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যান সামিয়া বেগম।
শুক্রবার স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান জালাল। স্ত্রীর স্বজনরা জালালের বাবা ও মা ছাড়া তাদের মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেবেন না বলে জানালে ক্ষুব্ধ হন জালাল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি ঘুমন্ত স্ত্রীর ওপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হন।
স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।
স্ত্রীর মাথা, পেটে ও হাতে ধারালো দায়ের কোপ রয়েছে।
গভীর রাতে সামিয়ার ছটফটানি শুনে বাড়ির লোকজন দেখেন তাদের মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছেন জালাল। তারা পেছন দিক থেকে ধাওয়া করলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় হাওরে মাছ ধরায় নিয়োজিত জেলেরা জালাল উদ্দিনকে আটক করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জালাল উদ্দিনকে থানায় নিয়ে গেছে।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
0 coment rios: