আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে জামালগঞ্জ উপজেলা উপ নির্বাচন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী প্রচারনা তুঙ্গে উঠছে , তৃণমূল পর্যায়ে চলছে নির্বাচনের চুল ছেড়া বিশ্ল্লেষণ। কথা হয় অনেক তৃণমূল নির্বাচনী বিশ্ল্লেষকদের সাথে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী।এর মধ্যে দুইজন স্বতন্ত্র
প্রার্থী তাও একই পরিবারের সদস্য। প্রার্থীদের নিজস্ব ইউনিয়নের বাহিরে প্রধান টার্গেট হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি খ্যাত ভীমখালী ইউনিয়ন।তৃণমূল নির্বাচনী বিশ্ল্লেষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় -কাস্টিং ভোটের উপর টার্গেট করে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী নুরুল হক আফিন্দি তাঁর নিজ ইউনিয়ন সাচনা বাজারের ভোট ব্যাংকে ব্যাক্তি ইমেজ ও দলীয় ভোটের হিসাব করলে দেখা যায় কাস্টিং ভোটের ৬০% ধানের শীষের ২০% নৌকার এবং ১৫% আনারসের আর ৫% ভোটে ঘোড়াতে পড়বে। সাচনাবাজার ইউনিযনের নুরুল হক আফিন্দীর ৬০% ভোট এর মধ্যে ১০% ভোট আসবে আওয়ামীলীগের ভোটে থেকে কারন রেজাউল করিম শামীম মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে অনেক আওয়ামীলীগের সমর্থিত শামীম অনুসারীদের ভোট চলে যাবে ধানের শীষে এমনটিই তৃণমূল বিশ্ল্লেষকদের ধারণা।
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হিসাব করলে দেখা যায় এখানে আনারস ও নৌকার ভোট বেশি। ৪০ % ভোট পাবে নৌকা, ৩০ % ভোট পাবে আনারস, ২০% ভোট পাবে ধানেরশীষ এবং ১০% ভোট পাবে ঘোড়া। জামালগঞ্জ উত্তর উনিয়নের ভোট হিসাব করলে সমান সমান ভোটে পাওয়ার আশংকা ধানেরশীষ ৩০% , নৌকা ৩০% ,আনারস ৩০% ও ১০% % ভোট পাবে ঘোড়া (কিছুটা তারতম্য থাকবে )। ফেনারবাক উনিয়নের ভোট বন্টন খুব গুরুত্বপূর্ণ, হিন্দু সমপ্রদায় বেশি ও বর্তমান আওয়ামীলীগ মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি উক্ত ইউনিয়নের হওয়ার কারনে নৌকার ভোট ব্যাংক সব চাইতে বেশি। ফেনারবাক উনিয়নের ভোট হিসাব করলে দেখা যায় ৫০% ভোট নৌকার , ৩০% ভোট ধানের শীষের , ১৫%ভোট আনারসের ও ৫% ভোট ঘোড়ার। বেহেলী ইউনিয়নেও রয়েছে ধানের শীষ ও নৌকার সমান ভোট তবে এখানেও নৌকার কিছু ভোট এসে ধানের শীষে যুক্ত হবে , এতে ধানের শীষ ৫০% , নৌকা ৪০% , আনারস ১০% ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভীমখালী ইউনিয়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হট পয়েন্ট স্বভাবজাত কারণে বিএনপির ভোট ব্যংক এই উনিয়নের , ২য় স্থানে রয়েছে আওয়ামীলীগ। ভীমখালী ইউনিয়নে কট্টর আওয়ামীলীগের পরিমান কম হলেও নব্য আওয়ামীলীগ এর সংখ্যা বেড়েছে তবে রেজাউল করিম শামীমের অনুসারীদের ভোট আওয়ামীলীগের ব্যাংকে যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। উক্ত ভোট গুলো চলে যেতে পারে ধানের শীষ ও আনারসে যদি তাই হয় তাহলে ভীমখালী ইউনিয়নে সবচেয়ে কম ভোট পাবে নৌকা। এখানে হিসাব করলে দেখা যায় কাস্টিং ভোটের ৫০% ভোট পাবে ধানের শীষ , ২৫% ভোট পাবে আনারস , ২০% ভোট পাবে নৌকা ও ৫% ভোট পাবে গোড়া। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে এমন হিসাবই পাওয়া যায়। গড় হিসাব করলে দেখা যায় ধানের শীষ বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয় লাভ করবে। তবে জগন্নাথপুর পৌরসভা উপনির্বাচনের হাল চিত্র লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রশাসনিক প্রভাবে নৌকা পাশ করে। এরকম যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন না হয় তাহলে কোনো হিসাবেই কাজ হবে না -নৌকারই জয় হবে।
তবে ভীমখালী ইউনিয়নের নির্বাচনী হিসাব নিয়ে এখনো ধুয়াঁশা রয়ে গেছে প্রত্যেক প্রার্থীরই টার্গেট ভীমখালী ইউনিয়ন , বিশ্ল্লেষকদর মতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ভীমখালী ইউনিয়নে যে প্রাথী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে তাঁরই জয়ের আশংখা বেশি। সব প্রার্থীরই টার্গেট এখন এই হট পয়েন্ট। তাই নির্বাচনী প্রচারনার দৌড়ঝাঁপ ভীমখালী ইউনিয়নেই বেশি। উপরোক্ত বিশ্ল্লেষণ শুধু মাত্র একটি ধারণা ভিত্তিক বিশ্ল্লেষণ।
লেখক : আরিফ মাহফুজ , সাংবাদিক -কলামিস্ট।
0 coment rios: