Saturday, 31 October 2020

জামালগঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

জামালগঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


 সুনামগঞ্জ জামালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী সামিয়া আক্তারকে (২০) গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত একটার দিকে উপজেলার মামুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা স্বামীকে জনতা আটক করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। আটক স্বামীর নাম জামাল উদ্দিন (২২)। তিনি সদর উপজেলার গৌরাঙ্গ ইউনিয়নের ইচ্চারচর গ্রামের আব্দুস ছোবানের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ বছরে মার্চ মাসে জামালগঞ্জ উপজেলার ভিমখালী ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম জিলানীর মেয়ে সামিরা বেগমকে বিয়ে করেন জালাল উদ্দিন।

মেয়ের বাবা প্রবাসী হওয়ায় যৌতুকের জন্য প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন জালাল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।

প্রায় মাস খানেক আগে নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যান সামিয়া বেগম।

শুক্রবার স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান জালাল। স্ত্রীর স্বজনরা জালালের বাবা ও মা ছাড়া তাদের মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেবেন না বলে জানালে ক্ষুব্ধ হন জালাল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি ঘুমন্ত স্ত্রীর ওপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হন।

স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।

স্ত্রীর মাথা, পেটে ও হাতে ধারালো দায়ের কোপ রয়েছে।

গভীর রাতে সামিয়ার ছটফটানি শুনে বাড়ির লোকজন দেখেন তাদের মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছেন জালাল। তারা পেছন দিক থেকে ধাওয়া করলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় হাওরে মাছ ধরায় নিয়োজিত জেলেরা জালাল উদ্দিনকে আটক করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জালাল উদ্দিনকে থানায় নিয়ে গেছে।

জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Sunday, 25 October 2020

জামালগঞ্জে বিষপানে প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ

জামালগঞ্জে বিষপানে প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ


 সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় বেহেলী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিক-প্রেমিকা। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় গোপালপুর গ্রামের জয়কিশোর দাসের ছেলে গৌরাঙ্গ দাস (২২) ও একই গ্রামের অরবিন্দু দাসের মেয়ে রিকু রানী দাস (২০) একসাথে বিষপানে আত্মহত্যা করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মৃত গৌরাঙ্গ দাসের সাথে আরেক মৃত রিকু দাসের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৯ অক্টোবর দিরাই থানাধীন ভাটিপাড়া ইউনিয়নের দত্তগ্রামের হীরালাল দাসের ছেলে গনেন দাসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রিকু রানী দাস। গত ২৩ অক্টোবর রিকু রানী স্বামী গনেন দাসকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরাযাত্রায় আসেন। ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে রিকু রানী ও গৌরাঙ্গ দাস দু’জনেই এক সাথে বিষ পান করে। পরবর্তীতে গুরুতর অবস্থায় তাদের দু’জনকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পথিমধ্যে রিকু রানী দাসের মৃত্যু হয়। তার কিছু সময় পর সুনামগঞ্জ হাসপাতাল যাওয়ার পূর্বে প্রেমিক গৌরাঙ্গ দাসের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে রিকু রানী দাসের পিতা অরবিন্দু দাস জামালগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছেন। অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টিতে সুনামগঞ্জ সদর থানায় আরেকটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, একপক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হবে।

 

Friday, 23 October 2020

হুমকির মুখে পর্যটন স্পট তাহিরপুরের লাল শাপলার বিকি বিল| Sunamganj Liveসুনামগঞ্জ লাইভ

হুমকির মুখে পর্যটন স্পট তাহিরপুরের লাল শাপলার বিকি বিল| Sunamganj Liveসুনামগঞ্জ লাইভ


কামাল হোসেন, সুনামগঞ্জ : হুমকির মুখে তাহিরপুরের লাল শাপলার বিকি বিল: গরু মহিষের খাদ্য হিসেবে স্থানীয় কৃষকরা এখন ব্যবহার করছে বিকি বিলের শাপলার ডাটা।

গত কয়েক মাস যাবৎ স্থানীয় কৃষকরা অবাধে গোখাদয়ার যোগান হিসেবে বিকি বিলের লাল শাপলা ডাটা কেটে ব্যবহার করার কারণে এখন বিনষ্টের মুখে অপরূ সৌন্দর্যের গালিচার খ্যাত তাহিরপুরের নতুন পর্যটন স্পষ্ট লাল শাপলার বিকি বিল।

গতকাল শনিবার দুপুর সরেজমিনে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের খাসতাল গ্রামের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত বিকির বিলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বিলের সৌন্দর্য বিনষ্টের কথা জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বিলে গত বছর যে পরিমাণ শাপলা ফুটতো, এ বছর তার আর দেখা মিলছে না। গরু আর মহিষের খাবারের জন্য অবাধে শাপলার ডাটা তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দ্রুত এই সম্ভাবনাময় লাল শাপলার এ বিলটিকে রক্ষায় প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ।

জানাযায়, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ গত বছরের ১২ অক্টোবর সকালে পরিদর্শনে এসে পযর্টন স্পষ্ট হিসাবে তাহিরপুর উপজেলাধীন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ টাঙ্গুয়ার হাওর, নয়নাভীরাম নিলাদ্রী ডিসি পার্ক, শহীদ সিরাজ লেক, বারেকের টিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন হলহলিয়া জমিদার বাড়ির পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিকভাবে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে লাল শাপলার বিকি বিলটি উদ্বোধন পর্যটন হিসাবে নতুন মাত্রাযোগ করেন।

এরপর বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকগন বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে লাল শাপলার বিকি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ পর থেকেই দেশ বিদেশের পর্যটকদের নজরে আসে লাল শাপলার বিকি বিল।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কাশতাল এলাকায় অবস্থিত লাল শাপলার বিকিবিলটি হলহলিয়ার চক ও দিঘলবাঁক মৌজার প্রায় ১৪.৯৫ একর জায়গা নিয়ে গঠিত। এর উত্তরে নয়নাভিরাম ভারতের মেঘালয় পাহাড়।

জানাযায়,গত এক যুগ ধরে এ বিকি বিলে সামান্য ফুল ফুটতো, কিন্তু ৪/৫ বছর ধরে পুরো হাওরে লাল শাপলা ফুটে প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য ধারণ করে। দেখলে মনে হয় কে যেন আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য লাল গালিচায় মোড়ায়ে রেখেছে। যতদুর চোখ যায় শুধু লাল আর লাল।

কিন্তু এ বছর বিকি বিলের এমন সৌন্দর্য নেই বললেই চলে। সাম্প্রতিক গত কয়েক দফা বন্যায় একদিকে বিলের সৌন্দযের্র উপড় প্রভাব পড়ে। অন্যদিকে ভয়ে যাওয়া কয়েক দফা বন্যায় এ অঞ্চলের কৃষকদের গোখাদ্য সংকটের কারণে বর্তমনে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের লোকজন অবাধে শাপলার ডাটা উপড়ে গরু মহিষের খাদ্যের জন্য বাড়ি নিয়ে গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহার করছে। বর্তমানে যা কিছ সৌন্দর্য অবশিষ্ট রয়েছে তাও এখন বিনষ্টের পথে ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকি বিল থেকে স্থানীয়রা লাল শাপলার ডাটা কেটে নৌকা বোঝাই করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে , জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক এ প্রতিবেদককে জানান, এ অঞ্চলের কৃষকেরা তাদের গরু, মহিষকে খড়ের পরিবর্তে বিলের এ শাপলার ডাটা কেটে নিয়ে খাওয়াচ্ছেন।

আমবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বাংলাদেশ কৃষকলীগ বড়দল উত্তর ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, গত বছর যেখানে প্রতিদিন ওই শতশত পর্যটক লাল শাপলার বিকি বিল দেখতে আসতো কিন্তু এবছর এই বিল কেউ আর দেখতে আসবেনা। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,
অবাধে লোকজন শাপলার ডাটা কেটে নৌকা ভরে নিয়ে যাচ্ছে । বাধা দিলেও কেউ শুনছে না। বিলের যে সৌন্দর্য ছিল সে পরিবেশটা এখন আর নেই বললেই চলে।

এ বিষয়ে বড়দল উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মাসুক মিয়া একই অভিযোগ , তিনিও জানান স্থানীয় এলাকাবাসী এই নয়নাভিরাম আপরূ সৌন্দর্যের লীলাভূমি দৃষ্টিনন্দন লাল শাপলার বিকি বিল থেকে শাপলার ডাটা উপড়ে যে যার মতো করে নিয়ে গরু মহিষকে খাওয়ানো ফেলে এর সৌন্দর্য প্রায় ধ্বংসের পথে। থানীয় লোকজনের সাথে লাল শাপলার বিকি বিলের সৌন্দর্য উদ্ধারে তিনিও দ্রুত প্রশাসনের সুদৃষ্টি কাম করছেন।

এ নিয়ে বড়দল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম জানান, কয়েক দফা বন্যায় বিলের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়েছে আর যা কিছু অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্তমানে কৌশল করেই বিলের অাশপাশের গ্রামের মানুষ বিলের এ শাপলার ডাটা কেটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে যার মতো বাড়ি নিয়ে গিয়ে গরু মহিষের খাওয়াচ্ছে ।

এর সৌন্দর্য রক্ষা করে দেশ বিদেশে এ বিলকে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় যেন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ দৈনিক জবাবদিহিকে জানান, গরু মহিষের খাবারের যোগান হিসেবে বিকি বিলের লাল শাপলার ডাটা উপড়ে গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহার করে এর সৌন্দর্য বিনষ্ট করা হচ্ছে তা আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই পর্যটন স্পষ্ট লাল শাপলার বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Monday, 19 October 2020

লড়াই হবে নৌকা ধানের শীষে |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ

লড়াই হবে নৌকা ধানের শীষে |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ


 বিশ্বজিত রায়, জামালগঞ্জ

জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন আগামীকাল (মঙ্গলবার)। এই উপজেলার নির্বাচনী প্রচারণা শেষ মূহূর্তে উৎসবমূখর হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে জেলা নেতৃবৃন্দ প্রচারণায় যুক্ত হওয়ায় এখানকার ভোটের লড়াইও নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যেই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল আল আজাদ ও বিএনপি’র প্রার্থী নূরুল হক আফিন্দী’র মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমেছে।
তবে বিএনপির আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুম মাহমুদ তালুকদারও শেষমেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওঠে আসবেন বলে দাবি তার সমর্থকদের। অবশ্য তার আপন চাচা ফয়জুল আলম তালুকদার মোহন প্রার্থী থাকায় বেকায়দায় মাসুম।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল আল আজাদ প্রয়াত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি ভোটের মাঠে পিতার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে প্রচারণায় কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন।
ইকবাল আল আজাদের নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ও জেলা নেতারা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত্, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল এবং সাবেক ছাত্রনেতা শাহরিয়ার চৌধুরী বিপ্লব সহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিপূল সংখ্যক নেতাকর্মী শেষের দিকে ইকবাল আল আজাদের নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত ছিলেন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নূরুল হক আফিন্দী উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবারের চেয়ারম্যান। ভোটের মাঠের শক্তিশালী এই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষেও মাঠ চষে বেড়িয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল, যুক্তরাজ্য আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক আফিন্দী লিটন, জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকতসহ অনেকে।
এছাড়া বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুম মাহমুদ তালুকদারও তার বাবা সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম তালুকদার ঝুনুর পরিচয় তুলে ধরে ঘুরেছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে।
প্রচারণার শেষ দিনে প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টরা সুষ্ঠু, সুন্দর ভোটের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবাল আল আজাদ বললেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন জনগণের পাশে ছিলেন। নিঃস্বার্থভাবে তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী বাবার যোগ্য উত্তরসুরী মনে করে মানুষ আমাকে ভোট দেবেন বলেই আমার প্রত্যাশা। বর্তমান সরকারের সময়কালে জামালগঞ্জের হাওরের পাড়ে পাড়ে উন্নয়নের ঢেউ লেগেছে। ভোটারগণ এই সুবাতাস ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিতে আমি ভোটারদের সহযোগিতা চাই।’
বিএনপি প্রার্থী নূরুল হক আফিন্দী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মাঝে ভোট নিয়ে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। আমরা পরস্পর শুনতেছি কেউ কেউ বলছেন নৌকায় ভোট দিলেও পাস, না দিলেও পাস। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ থাকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি সজাগ থাকে তাহলে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। আমি বিশ্বাস করি প্রশাসন এ ব্যাপারে সজাগ থাকবেন।’
মাসুম মাহমুদ তালুকদার বলেন, ‘আমি জনগণের মনোনীত প্রার্থী। আমার নির্বাচনে আসার সাহস জনগণ দিয়েছেন। নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত অনুকূলে আছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে আমি বিজয়ী হবো।’
মাসুম মাহমুদ তালুকদারের চাচা ফয়জুল আলম মোহন বলেন, ‘জনগণের সাড়া আছে, মানুষ আমাকে পছন্দ করে, ১৪ টি গ্রাম ঐক্যজোট হয়ে আমাকে সমর্থন করেছেন। ভোট সুষ্ঠু হবে এবং আমি জয়লাভ করবো।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, এখনো পর্যন্ত কোন কেন্দ্র থেকে এ ধরণের কোন অভিযোগ পাই নি, শুনাও যায় নি। আশা করি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আগামীকাল ২০ অক্টোবর জামালগঞ্জের উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে ৪৬ টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ ভোটার ভোট প্রয়োগ করবে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই উপজেলা পরিষদের ৩ বারের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ মৃত্যুবরণ করায় এখানকার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Wednesday, 14 October 2020

জামালগঞ্জ উপজেলা উপনির্বাচন - ট্রাম কার্ড ভীমখালী ইউনিয়ন |Sunamganj Live

জামালগঞ্জ উপজেলা উপনির্বাচন - ট্রাম কার্ড ভীমখালী ইউনিয়ন |Sunamganj Live


আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে জামালগঞ্জ উপজেলা উপ নির্বাচন।  সময় যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী প্রচারনা তুঙ্গে উঠছে , তৃণমূল পর্যায়ে চলছে নির্বাচনের চুল ছেড়া বিশ্ল্লেষণ।  কথা হয় অনেক তৃণমূল নির্বাচনী বিশ্ল্লেষকদের সাথে। 
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী।এর মধ্যে দুইজন স্বতন্ত্র 
প্রার্থী তাও একই পরিবারের সদস্য। প্রার্থীদের নিজস্ব ইউনিয়নের বাহিরে প্রধান টার্গেট হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি খ্যাত ভীমখালী ইউনিয়ন।তৃণমূল নির্বাচনী বিশ্ল্লেষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় -কাস্টিং ভোটের উপর টার্গেট করে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী নুরুল হক আফিন্দি তাঁর নিজ ইউনিয়ন সাচনা বাজারের ভোট ব্যাংকে ব্যাক্তি ইমেজ ও দলীয় ভোটের হিসাব করলে দেখা যায় কাস্টিং ভোটের ৬০% ধানের শীষের ২০% নৌকার এবং ১৫% আনারসের আর ৫% ভোটে ঘোড়াতে পড়বে।  সাচনাবাজার ইউনিযনের নুরুল হক আফিন্দীর ৬০% ভোট এর মধ্যে ১০% ভোট আসবে আওয়ামীলীগের ভোটে থেকে কারন রেজাউল করিম শামীম মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে অনেক আওয়ামীলীগের সমর্থিত শামীম অনুসারীদের ভোট চলে যাবে ধানের শীষে এমনটিই তৃণমূল বিশ্ল্লেষকদের ধারণা। 
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হিসাব করলে দেখা যায় এখানে আনারস ও নৌকার ভোট বেশি।  ৪০ % ভোট পাবে নৌকা, ৩০ % ভোট পাবে আনারস, ২০% ভোট পাবে ধানেরশীষ এবং ১০% ভোট পাবে ঘোড়া। জামালগঞ্জ উত্তর উনিয়নের ভোট হিসাব করলে সমান সমান ভোটে পাওয়ার আশংকা ধানেরশীষ  ৩০% , নৌকা ৩০% ,আনারস ৩০% ও ১০% % ভোট পাবে ঘোড়া (কিছুটা তারতম্য থাকবে )।  ফেনারবাক উনিয়নের ভোট বন্টন খুব গুরুত্বপূর্ণ, হিন্দু সমপ্রদায় বেশি ও বর্তমান আওয়ামীলীগ মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি উক্ত ইউনিয়নের হওয়ার কারনে নৌকার ভোট ব্যাংক সব চাইতে বেশি।    ফেনারবাক উনিয়নের ভোট হিসাব করলে দেখা যায় ৫০% ভোট নৌকার , ৩০% ভোট ধানের শীষের , ১৫%ভোট আনারসের ও ৫% ভোট ঘোড়ার। বেহেলী ইউনিয়নেও রয়েছে ধানের শীষ ও নৌকার সমান ভোট তবে এখানেও নৌকার কিছু ভোট এসে ধানের শীষে যুক্ত হবে , এতে ধানের শীষ ৫০% , নৌকা ৪০% , আনারস ১০% ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা  আছে। ভীমখালী ইউনিয়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হট পয়েন্ট স্বভাবজাত কারণে বিএনপির ভোট ব্যংক এই উনিয়নের , ২য় স্থানে রয়েছে আওয়ামীলীগ।  ভীমখালী ইউনিয়নে কট্টর আওয়ামীলীগের  পরিমান কম হলেও নব্য আওয়ামীলীগ এর সংখ্যা বেড়েছে তবে রেজাউল  করিম শামীমের অনুসারীদের ভোট আওয়ামীলীগের ব্যাংকে যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।  উক্ত ভোট গুলো চলে যেতে পারে ধানের শীষ ও আনারসে যদি তাই হয় তাহলে ভীমখালী ইউনিয়নে সবচেয়ে কম ভোট পাবে নৌকা।  এখানে হিসাব করলে দেখা যায় কাস্টিং ভোটের ৫০% ভোট পাবে ধানের শীষ ,  ২৫% ভোট পাবে আনারস , ২০% ভোট পাবে নৌকা ও ৫% ভোট পাবে গোড়া। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে এমন হিসাবই পাওয়া যায়। গড় হিসাব করলে দেখা যায় ধানের শীষ বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয় লাভ করবে। তবে জগন্নাথপুর পৌরসভা উপনির্বাচনের হাল চিত্র লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রশাসনিক প্রভাবে নৌকা পাশ করে।  এরকম যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন না হয় তাহলে কোনো  হিসাবেই কাজ হবে না -নৌকারই জয় হবে। 
তবে ভীমখালী ইউনিয়নের নির্বাচনী হিসাব নিয়ে এখনো ধুয়াঁশা রয়ে গেছে প্রত্যেক প্রার্থীরই টার্গেট ভীমখালী ইউনিয়ন , বিশ্ল্লেষকদর মতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ভীমখালী ইউনিয়নে যে প্রাথী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে তাঁরই জয়ের আশংখা বেশি।  সব প্রার্থীরই টার্গেট এখন এই হট পয়েন্ট।  তাই নির্বাচনী প্রচারনার দৌড়ঝাঁপ ভীমখালী ইউনিয়নেই বেশি।  উপরোক্ত বিশ্ল্লেষণ শুধু মাত্র একটি ধারণা ভিত্তিক বিশ্ল্লেষণ। 

লেখক : আরিফ মাহফুজ , সাংবাদিক -কলামিস্ট।

Thursday, 8 October 2020

`স্যার' না বলায় উত্তেজিত দিরাইয়ের ইউএনও |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

`স্যার' না বলায় উত্তেজিত দিরাইয়ের ইউএনও |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


 স্যার না বলায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ওপর চটে গেলেন সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফি উল্লাহ।

উত্তেজিত হয়ে এ সময় ইউএনও সাংবাদিককে বলেন, আপনি কোন পত্রিকায় কাজ করেন? পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন ইউএনও কে ভাই ডাকছেন কেন? পরবর্তীতে ক্ষেপে গিয়ে শফি উল্লা আবারও বলেন, ইউএনও কে ভাই ডাকা যাবে না। আপনি জানেন না একজন ইউএনওকে স্যার বলতে হয়?
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ‌‌‌‌পরিবেশ ও হাওর ধ্বংসকারী প্লাস্টিকের ছাই তৈরি করা হয়- শীর্ষক বিষয়ে পেশাগত কাজে সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক সিলেট মিররের প্রতিবেদক ও দিরাই উপজেলার স্থানীয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জাগো ভাটির নির্বাহী সম্পাদক আশরাফ আহমদ বুধবার বিকেলে মুঠোফোনে ইউএনও’র বক্তব্য জানার জন্য ফোন করেন। মুঠোফোনে আলাপের শেষে ইউএনওকে ভাই বলে সম্বোধন করায় উত্তেজিত হন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে ওই সংবাদকর্মী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদকে ভাই বলে সম্বোধন করার বিষয়টি অবহিত করলে ইউএনও শফি উল্লাহ বলেন, ডিসি সাহেব কে ডাকছেন- ডাকেন। কিন্তু আমাকে ভাই ডাকা যাবে না।

এ ব্যাপারে জৈন্তা বার্তা থেকে ইউএনও শফি উল্লা’র সাথে রাতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি।

উল্লেখ্য; চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুদক কার্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আমরা চাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সেবাগ্রহীতা নাগরিকদের ‘স্যার’ সম্বোধন করবেন, নাগরিকরা না।’

কালো পতাকা মিছিল: আরিফ মাহফুজ |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

কালো পতাকা মিছিল: আরিফ মাহফুজ |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


নির্বাক আর কিংকর্তব্য বিমূঢ় অবস্থায় কাটছে দিনগুলো।  প্রশ্ন জাগে এটাই কি আমার দেশ ? এটাই কি আমার জন্মভূমি ? প্রতিদিনই ফেইসবুক ওয়ালে পোষ্ট দিতে চাই কিন্তু পারি না।  ফেইসবুক এর পোষ্ট অপশন জিজ্ঞেস করে 'হোয়াটস ইন ইওর মাইন্ড ' -তাকে বলি আমার মাইন্ডে তো অনেক কিছুই আছে  কিন্তু তুমার বক্সে লিখতে পারিনা , লিখলে অনেকেই মাইন্ড করবে।  সব কি আর লিখা যায় ? না যায় না , কিছু ধূসর রয়ে গেছে সমাজে যাদের জন্য কলমও অনেক সময় থমকে যায়। লিখতে গিয়েও লিখিনা।  সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রচন্ড ভাবে দংশন করে প্রতিনিয়ত।  বাধ্য করে দেয় কলম ধরতে।  একের পর এক গণধর্ষনের মত ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটছে  দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। নারীর প্রতি কেন এই সহিংসতা ? ধর্ষনের রঙ্গ মঞ্চ আজকের বাংলাদেশ। ধর্ষনের হিড়িক যা ইতি পূর্বে কখনোই দেখা যাই না শুধু ১৯৭১ সাল ব্যাতীত।  ১৯৭১ সালে ধর্ষন  করেছে পাকিস্তানি সেনারা আর সাথে ছিল গাদ্দার কিছু পিচাশ অমানুষ যাদেরকে আমরা রাজাকার বলি।  রাজাকের বিচারও এদেশে হয়েছে দলীয়করনের মধ্যেদিয়ে। যাই হউক সেদিকে গিয়ে লাভ নেই।   বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ) সম্মীক্ষা মতে শুধু চলতি বছরের ধর্ষনের হিসাব দেখেই মস্তিস্ক হ্যাং হয়ে যায়।  চলতি বছরে গত আট মাসে সারা দেশে ৮৯২ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ১৯২ টি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।  ৪১ জন ধর্ষণের পরে আহত অবস্থায় মারা গেছেন, ৯ জন ধর্ষণের পরে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন বলে  জানা গেছে। ধর্ষন ছাড়াও নারী নির্যাতনের হিসাব অগনিত।  স্কুল ছাত্রী , গৃহবধূ এমনকি ৭৫ বছরে বৃদ্ধাও এর  বাহিরে নয়। ধর্ষনের আইনগত বিচার সঠিক সময়ে না হওয়ার কারনেই  ঘটনার পরিসংখ্যান দিনদিন বাড়ছে। দেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষন মামলার বিচার  ১৮০ দিনের মধ্যে হতে হবে কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।  ধর্ষনের বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য নারীবাদী নেত্রীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।  বর্তমানে ঘটেযাওয়া ধর্ষনের প্রতিবাদে সারা দেশের স্কুল-কলেজ - বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে।  কিন্তু নারীবাদী নেত্রীরা চুপ করে লুকিয়ে আছেন। কিন্তু কেন ? কার ভয়ে বা কার সমর্থনে তাঁরা নিশ্চুপ এটা আজ দেশের মানুষের কাছে প্রধান প্রশ্ন।  তাহলে আজ যারা বেপরোয়া ধর্ষক তাদের সাপোর্ট করতে কি তাঁরা আজ নীরব ?  সবগুলো ধর্ষনের নায়ক আজকের ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা।  পেছনে রয়েছে আওয়ামী গড ফাদাররা।  সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার কথা বলে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ, মেসের রুমের টাইলস পরিষ্কার করার কথা বলে কেরানীগঞ্জে নারীকে ধর্ষণ, খাগড়াছড়িতে ডাকাতি করতে ঘরে ঢুকে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, খাগড়াছড়িতে চাকমা সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষন , সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষন , নোয়াখালীর আলোচিত ধর্ষণ সহ সবগুলো ধর্ষনেই ছাত্রলীগ কর্মীরা অভিযুক্ত। সরকারের মদদেই আজ বেপরোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ। লাগামহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে কারি কারী টাকা আয় করে বেসামাল তাঁরা। ক্ষমতা আর টাকার গরমে দিশেহারা।  তাঁরা না মানে প্রশাসন না মানছে পারিবারিক আদর্শ। বেশিরভাগই পিতামাতার অনুগত নয়।  ছাত্রলীগ কর্মীরা অনুগত আওয়ামীলীগ নেতাদের অনুগত।  নেতারা তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে ছাত্রলীগ যুবলীগ কর্মীদের। আর এসব নেতাদের আশ্রয় -পশ্রয় দিচ্ছে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মন্ত্রী এমপিরা। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির চিত্র আজ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।  শিক্ষা, চিকিৎসা ,স্বাস্থ্য ,অর্থনীতি সবক্ষেত্রে হরিলুট যার তালিকা কাগজ কলমে  ধরে না। প্রশাসনিক লেভেলেও দুর্নীতি- অনিয়ম চরম পর্যায়ে।  মানুষের জান  মালের নিরাপত্তা আমরা হারিয়েছি অনেক আগেই কিন্তু শেষ পর্যায়ে হারালাম মা-বোনদের ইজ্জতের নিরাপত্তা। যে রাষ্ট্র নারীর ইজ্জত রক্ষায় আহাজারি করছে সে রাষ্ট্রের অধিকর্তারা রাষ্ট্রের জন্য কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন ? মন্ত্রী।,এমপি, আমলাদের বউ-বোনদের তো কোনো নিরাপত্তার অজুহাত নেই কারন তাঁদের  লালিত ছেলেরাই তো ধর্ষণে সেঞ্চুরি করছে তাই মন্ত্রী এমপিদের বউ-বোনদের নিরাপত্তা ১০০% . কিন্তু যে সাধারণ জনগণের ভোটে এমপি মন্ত্রী হলেন , যে সাধারণ নাগরিকদের টাকায় দেশ চলে ,আমলারা চলে তাঁদের জীবন ও ইজ্জতের কোনো নিৰাপত্তা নাই কেন ? বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করা হচ্চে চরম ভাবে তাই বিচার বিভাগ অসহায় তা না হলে ১৮০ দিনে যে বিছার কার্য সম্পাদন হওয়ার কথা সেটা সম্পন্ন হতে বছরের পর বছর লাগবে কেন ?  বিচারহীনতার কারণে বেড়েই চলছে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।  ''নো অ্যাকশন নো রিঅ্যাকশন '' প্রতিচ্ছবি  প্রতিফলিত হচ্ছে।  আজকে সরকার যদি সঠিক থাকতো ধর্ষণতো  দূরের কথা মেয়েদের চোখের দিকেও তাকাতে পারতো না ছাত্রলীগ।   বিচারকার্যে রাজনৈতিক প্রভাব, নৈতিকতা ও সামাজিক অবক্ষয়ও এর জন্য  সম্পূর্ণভাবে দায়ী ।  রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা  কমিয়ে , এবং বিদেশী অর্থায়নে চলা এনজিও কর্মীদের জোরালো ও সোচ্ছার ভূমিকা পালন করতে হবে এসব অপরাধ ঠেকানোর জন্য ,প্রত্যেক মানবাধিকার কর্মীকে সরকারের বন্ধনা -ভজনা ত্যাগ করতে হবে।  তবে সামাজিক দায়বদ্ধতা না এড়িয়ে প্রতিটি পরিবারের অভিভাবকদেরও দৃষ্টি দিতে হবে নিজের ছেলে সন্তানের প্রতি।  পারিবারিকভাবে নাগরিক সতর্কতা একান্ত প্রয়োজন।  ধর্ষণ যে কোনো  সময় বা যে কোনো স্থানেই হউক না কেন তার মূল্য সমান , নির্দিষ্ট কোনো স্থানের , জেলার , শহরের ধর্ষণকে ভিন্ন গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন নেই।  নারীর সম্মান সবখানে -সবারই সমান। নোয়াখালী ও সিলেটের ধর্ষণে বিচার কঠোর হস্তে হবে বলে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন -এরকম আবাল মার্কা কথা একদম ঠিক না -নোয়খালী আর সিলেটের ধর্ষণ কোনো আলাদা বিষয় নয় , অন্নান্য  ধর্ষণ একই বিষয় , অপরাধ সমান।  সব ধর্ষণের অপরাধীদের দ্রুত বিচার করুন।  বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিন ,আর ছাত্রলীগ -যুবলীগকে সামাল দিন তাহলেই দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।  আর না হয় আপনাদের সোনার  ছেলেদের দ্বারা হঠাৎ  দেখবেন আপনাদের    মেয়ে -বোন-বউ ধর্ষিত হয়ে গেছে।  আজ আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যমে উঠে আসছে লোমহর্ষক গণধর্ষণের ঘটনা যা বাঙালি জাতির জন্য লজ্জা। ধর্ষণের প্রতিবাদে আজ সমস্ত জাতি ফুঁসে উঠেছে , মানুষের পিঠ আজ দেয়ালে  আটকে গেছে  , বাঙালি জাতি আবারো দেখাবে  অন্যায়ের প্রতিবাদের ফসল কিভাবে আন্তে হয়। অন্যায়ের  প্রতিবাদের ফসল আমাদের মাতৃভাষা ,  অন্যায়ের প্রতিবাদের ফসল আমাদের স্বাধীনতা।  যে যেখানে আছে কালো অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ছিনিয়ে আনতে হবে আরেকটি ফসল -বাঁচাতে হবে আমার  বোনের ইজ্জত, আনতে আমার মা বোনদের ইজ্জতের নিরাপত্তা পতাকা . তাই কালো পতাকা মিছিল হবে -ঘরে ঘরে উঠুক কালো পতাকা , আজ বিজয়ের পতাকার সাথে থাকবে  কালোপতাকা উড্ডীয়ম্যান।  ধর্ষকদের দ্রুত বিচার না হওয়া পর্যন্ত সাধারন ছাত্র- জনতা চালাবে কালো পতাকা মিছিল।  

 লেখক : আরিফ মাহফুজ , সাংবাদিক-কলামিষ্ট , যুক্তরাজ্য থেকে।

Saturday, 3 October 2020

সিলেট নগরীতে এবার কিশোরী ‘ধর্ষিত’, এবারও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী

সিলেট নগরীতে এবার কিশোরী ‘ধর্ষিত’, এবারও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী


সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যে এবার নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত কিশোর নিজু আহমদ (২০) ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলেও জানা গেছে। ওই কিশোরী এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছে।কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে ধর্ষণ করে ওই কিশোর।
জানা যায়, অভিযুক্ত নিজু আহমদ দাঁড়িয়াপাড়া ১৪/বি বাসার বাসিন্দা এবং মদন মোহন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে নিজু আহমদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে বাসায় এনে ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরের দিন তাড়িয়ে দেয়। পরে ওই কিশোরী ধর্ষণের বিষয়টি তার বাসায় জানায়।
ঘটনা জানার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন। এরপর রাতে ওই কিশোরীর মা নিজু আহমদকে আসামী করে সিলেট কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩ (০৩.১০.২০)।
এ ব্যাপারে সিলেট নগরের ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট বলেন, আমিও এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সম্ভবত ২/৩ দিন আগে ঘটেছে। অভিযুক্ত কিশোর দাড়িয়াপাড়া এলকায় ভাড়া থাকে। আর কিশোরী নগরের আরেকটি এলাকায় থাকে।
তিনি বলেন, অভিযোগকারী কিশোরীর পরিবার আর্থিকভাবে তেমন স্বচ্ছল নয়, তাই দুদিন আগে ঘটনা ঘটলেও সম্ভবত সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছিলো। আবার তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলেও একটি পক্ষ দাবি করেছে। যদিও কোনো কিছুই এখন পর্যন্ত আমি নিশ্চিত নই।
সম্রাট বলেন, অভিযুক্ত কিশোর ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে যায় বলে শুনেছি। এখন তো সবাই-ই ছাত্রলীগ।
এ ব্যাপারে কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা শুক্রবার মধ্যরাতে বলেন, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত কিছু এখনও জানি না। এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম নামে তিন ছাত্রলীগ নেতা শুক্রবার (২ অক্টোবর) দায় স্বীকার করে আদলতে জবানবন্দি দিয়েছেন।