Thursday, 19 November 2020

জামালগঞ্জে অর্ধশতাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম আলোচনায় |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

জামালগঞ্জে অর্ধশতাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম আলোচনায় |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


 বিশ্বজিত রায়, জামালগঞ্জ

জামালগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগেভাগেই শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জোর প্রচার-প্রচারণা। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা ঘুরে নিজেদের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন। এ নিয়ে উপজেলার প্রতিটি গ্রাম ও হাট-বাজারে নির্বাচনী আলাপচারিতা ও চায়ের আড্ডা শুরু হয়েছে। আগামী মার্চ-এপ্রিল নাগাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গেল দুর্গোৎসবে অধিকাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থীই নিজ এলাকার পুজোম-প পরিদর্শনের পাশাপাশি ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে নির্বাচনে নিজেদের ইচ্ছার কথা তুলে ধরেছেন। প্রার্থীদের এই দৌড়ঝাঁপ ভোটাররা ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের ব্যাপারটিতে অনাগ্রহের কথাই জানিয়েছে সিংহভাগ মানুষ। দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন হলে তা নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে না বলেও মত দিয়েছেন তারা। তবে দলীয় প্রতীক ভাগিয়ে এনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার দল সমর্থিত প্রার্থীরা। অপরদিকে বিএনপি ঘরানার প্রার্থীরাও দলীয় পরিচয় গোপন রেখে নিজেদের নির্বাচনী কাতারে নিয়ে আসছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ শতাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম নির্বাচনী আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে ১নং বেহেলী ইউনিয়নে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার, মো. সারোয়ার হোসেন, রতি রঞ্জন পুরকায়স্থ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের ছেলে মো. আমিনুল হক মনি, সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা সবুজ কান্তি দাস, ইউপি সদস্য অজিত রায় ও সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুব্রত সামন্ত সরকার ।
(উপরের বাম থেকে) বেহেলী ইউনিয়ন- অসীম তালুকদার, রতি রঞ্জন পুরকায়েস্থ, সুব্রত সামন্ত সরকার, অজিত রায়, মো. সারোয়ার হোসেন, মো. আমিনুল হক মনি; জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন- সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার, জামিল আহমদ জুয়েল, আবুল কালাম আজাদ, মো. জসীম উদ্দিন তালুকদার; ফেনারবাঁক ইউনিয়ন- আজাদ হোসেন বাবলু, জীতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, বিন্দু তালুকদার, সাধন তালুকদার, জুলফিকার চৌধুরী রানা, রফিকুল ইসলাম রানা; সাচ্না বাজার ইউনিয়ন- মো. মাসুক মিয়া, সায়েম পাঠান, মো. বদিউজ্জামান বদি, ইয়াকবীর হোসেন, মকবুল আফিন্দী, কাশেম আখঞ্জী; ভীমখালী ইউনিয়ন- মো. দুলাল মিয়া, আক্তারুজ্জামান শাহ, অ্যাড. মো. আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান তালুকদার, অ্যাড. শাহীনুর রহমান; জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন- মো. রজব আলী, এম নবী হোসেন, মো. শহীদুল ইসলাম, মোবারক আলী তালুকদার, আলী আক্কাছ মুরাদ, মো. হাবিবুর রহমান


২নং জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার, উপজেলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জামিল আহমেদ জুয়েল, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধুরীর ছেলে ফয়সল চৌধুরী, আব্দুল হক চৌধুরী, মো. জালাল মিয়া, মো. জসীম উদ্দিন তালুকদার।
৩নং ফেনারবাঁক ইউনিয়নে সাধন তালুকদার, জীতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব বিন্দু তালুকদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বাবলু, রফিকুল ইসলাম রানা, মো. সাইদুর রহমান, জুলফিকার চৌধুরী রানা, সুইট চৌধুরী, শাহাব উদ্দিন তালুকদার রিয়াজ, সাবেক ইউপি সদস্য নূরু মিয়া, ডা. হারুনূর রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, ইউপি সদস্য আসাদ আলী, সুবোধ চন্দ্র তালুকদার।
৪নং সাচনা বাজার ইউনিয়নে মো. মাসুক মিয়া, সায়েম পাঠান, মকবুল আফিন্দী, মো. বদিউজ্জামান বদি, রেজওয়ান আহমদ আলম, কাসেম আখঞ্জী, ইয়াকবীর হোসেন।
৫নং ভীমখালী ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া, উপজেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. আব্দুল খালেক, ভীমখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান শাহ, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান তালুকদার, আক্তারুজ্জামান তালুকদার, অ্যাড. শাহীনুর রহমান, মো. আবু তাহের তালুকদার, মো. আমিরুল হক।
৬নং জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান মো. রজব আলী, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক আলী তালুকদার, ইউপি সদস্য মো. হানিফ মিয়া, মো. শহীদুল ইসলাম ও আলী আক্কাছ মুরাদের নাম নির্বাচনী আলোচনায় উঠে আসছে। এ নিয়ে প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে বাড়তি প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের দায়িত্বশীলরা জানান, উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৪ জন। এর মধ্যে বেহেলী ইউনিয়নে মোট ১৩ হাজার ৯২৯ জন, জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ২০ হাজার ১৩২ জন, ফেনারবাঁক ইউনিয়নে ২৫ হাজার ৪২২ জন, সাচনা বাজার ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৯৬৮ জন, ভীমখালী ইউনিয়নে ২৩ হাজার ২২১ জন, জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৩৮২ জন ভোটার রয়েছেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রামাঞ্চলে প্রচারণা শুরু হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে এখনও কোন নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস।
নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাচনা বাজার ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের মো. উস্তার গনী বলেন, ‘নির্বাচনের হাঁকডাক মোটামুটি শুরু হইয়া গেছে। নির্বাচনে যে যোগ্য তারেই তো আমরা ভোট দিমু। এইতা নির্বাচনও দলীয় প্রতীক না থাকাটাই ভালা। তাহইলে ভোটটা জমব।’
দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনাগ্রহের কথা জানিয়ে বেহেলী ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামের অঞ্জন রায় বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের প্রতি প্রার্থীদের যে যোগ-জিজ্ঞাসা সেটা ইতিবাচক। তবে সাধারণ মানুষের সেই প্রয়োজনীয়তা যেন শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিকই না হয়। এখন প্রার্থীরা যেভাবে জনসাধারণকে আপন ভেবে বুকে টেনে নিচ্ছেন পরবর্তীতে সেটা অব্যাহত থাকলে তা হবে সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিত্বশীল যোগ্যতা প্রদর্শন। আর দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভোটারদের ভোট দেওয়ার উৎসাহ কমে যাবে।’
ভীমখালী ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘আমি গত নির্বাচনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। এ বছরও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আমি করোনাকালীন দুর্যোগ, হাওর সমস্যাসহ এলাকার সামাজিক কর্মকা-ে সর্বদাই মানুষের পাশে আছি। আশা রাখি ভোটাররা আমাকে মূল্যায়ন করবে।’
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল আহমদ জুয়েল বলেন, ‘আমি গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিলাম। অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছি এবং দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল আমাকে পরাজয় বরণ করতে বাধ্য করেছে। গেল নির্বাচনে আমার প্রাপ্ত ফলাফল বিবেচনায় দল আমাকে মূল্যায়ন করবে, এমনটা প্রত্যাশা করছি।’
বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন আরও প্রায় ৬ মাস বাকি। আর আমি চেয়ারম্যান যেহেতু নির্বাচনে তো আসবই। তবে অন্য প্রার্থীরা যেভাবে প্রচারণা শুরু করেছে আমি জনপ্রতিনিধিত্বশীল কর্মকা-ে ব্যস্ত থাকায় মাঠে যেতে পারছি না। আশা রাখছি বিগত দিনের কর্মকা- বিবেচনায় সাধারণ মানুষ আমাকে পুনর্বার নির্বাচিত করবে।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমাদের কমিশন থেকে এখন যে নির্দেশনা আছে সেটা পৌর নির্বাচনে প্রস্তুতির চিঠি এসেছে। ইউপি নির্বাচনের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই। তবে আগামী মার্চ থেকে ইউপি নির্বাচন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত, চিঠি কিংবা নির্দেশনা আমাদেরকে দেওয়া হয়নি।

Monday, 16 November 2020

সুনামগঞ্জে ২০ টাকার জন্য যুবক খুন |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

সুনামগঞ্জে ২০ টাকার জন্য যুবক খুন |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

 


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে ২০ টাকা পাওনার জেরে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। শনিবার রাতে সুরমা ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আছির উদ্দিন (২৫)। সে মঈনপুর গ্রামের মো. ফজিল হকের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে নিহত যুবক আছির উদ্দিন (২৫) দাড়িঁয়ে ছিল। তখন একই গ্রামের মুদি দোকানদার মো. ইকবাল হোসেনের ছেলে মো. হৃদয় হোসেন পাওনা ২০টাকা চাইলে নিহত আফির উদ্দিন বলছিল এখন টাকা হাতে নেই একটু পরে দিবে। এনিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় দোকানদারের ছেলে হৃদয় হোসেন ও তার বন্ধু মো. হাসান মিলে আছির উদ্দিনের হামলা করে। এসময় আছির উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে তারা। আছির উদ্দিন সাথে সাথে মাটিতে পড়ে যায়। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা তাকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শহীদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাওনা ২০ টাকার জন্য মঈনপুর গ্রামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাটানো হয়েছে। ঘটনার সাথে যারা জড়িতকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Friday, 13 November 2020

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল : ‘নাই ডাক্তার, নাই নার্স’ অবস্থা

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল : ‘নাই ডাক্তার, নাই নার্স’ অবস্থা


মাসুম হেলাল ::

প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার নাই, নার্স নাই; নাই কর্মচারি-আয়া-ক্লিনার কিছুই – হাওর অধ্যুষিত প্রান্তিক একটি জনপদের প্রধান চিকিৎসালয় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এমন ‘নাই’ এর আছরের কারণে বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
সাম্প্রতিক সময়ে আটতলা বিশিষ্ট আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণ হয়েছে ঠিকই, তবে যেখানে ৫৯ জন ডাক্তার থাকার কথা সেখানে মাত্র ১৫ জন ডাক্তার জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। আর নার্স, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বেশিরভাগ পদও শূন্য হাসপাতালটিতে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রান্তিক জেলা হওয়ায় ডাক্তাররা এখানে এসে থাকতে চান না। বদলির আদেশ তামিল হওয়ার আগেই তদবির করে সেটা স্থগিত করে দেন অনেকেই। ফলে শূন্য হাসপাতাল শূন্যই থেকে যায়। এদিকে, ‘নাই’ এর আছর কাটাতে স্থানীয় ও আশপাশের জেলা থেকে ডাক্তার নিয়োগে দেওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে রয়েছে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশু, নবজাতক, ডায়রিয়া ও ডায়ালাইসিস ওয়ার্ড। সবগুলো বিভাগ চালাতে ৫৯ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে। তার মধ্যে ১০ জন বিশেষজ্ঞ, একজন আবাসিক চিকিৎসক ও দুইজন মেডিকেল অফিসার মিলিয়ে হাসপাতালটিতে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৫ জন ডাক্তার।
উল্লেখ্য, ৩৯তম বিসিএস উত্তীর্ণ ১২ জন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা বিশেষায়িত করোনা ইউনিটে কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে, ২২৩ জন নার্সের মঞ্জুরিকৃত পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৪০ জন। আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়াধীন থাকায় মাত্র চারজন কর্মরত আছেন এখন।
সূত্র জানায়, সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চার জন ডাক্তারের সবগুলো পদই এখন শূন্য। প্রেষণে ডাক্তার এনে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে জরুরি বিভাগ। রোগীদের সেবা দিতে সরকার দুটি মূল্যবান এক্স-রে মেশিন দিলেও রেডিওলজিস্ট ও রেডিওগ্রাফার না থাকায় টানা চার বছর ধরে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
জানা যায়, কার্ডিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ হোসেন ছুটি নিয়ে গত এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় হৃদরোগের যাবতীয় চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে। ফলে ৬৭ কিলোমিটার দূরের গন্তব্য সিলেটে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
হাসপাতালের সার্বিক অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ডাক্তার বলেন, লিখে কী হবে। গত ৫ বছর ধরে দেখে আসছি জনবল সংকট নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা লিখছেন, আমরাও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত বিরতিতে রিপোর্ট করছি; পরিবর্তন তো কিছুই হচ্ছে না। তাঁর মতে, প্রান্তিক জেলা হওয়ায় এখানে এসে ভাল কোন ডাক্তার থাকতেই চান না। অনেকই মাঝপথে বদলির আদেশ স্থগিত করে দিয়ে পুরনো কর্মস্থলে থেকে যান। কেউ কেউ নানা বাহানায় ছুটি নিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়ে দেন। তাঁর মতে, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের শনির দশা কাটাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি বিশেষ নজর দেন তবেই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও জনবল সংকট দূরীকরণে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি, আমাদের জায়গা থেকে এর বেশি কিছু করার নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সদর আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহও এ নিয়ে সংসদে একাধিকবার কথা বলেছেন। পরিস্থিতির সাময়িক উন্নতি হলেও দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এমন নেতিবাচক পরিস্থিতির মাঝেও কিছুটা আশার কথা শোনালেন ডা. রফিক। তিনি বলেন, এখন আমাদের অপারেশন থিয়েটারটি সার্বক্ষণিক সচল রয়েছে। ছোটবড় সব ধরনের অপারেশন হয় এখানে। মাসে অন্তত ৩০ টি সিজারিয়ান অপারেশনও হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, জনবলের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর – সবখানেই আমরা লিখছি। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে।

Monday, 9 November 2020

জামালগঞ্জের নোয়াগাঁও এ সড়ক দূর্ঘটনা নিহত ১ জন |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

জামালগঞ্জের নোয়াগাঁও এ সড়ক দূর্ঘটনা নিহত ১ জন |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


 জামালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে নোওয়াগাঁও ব্রীজের উপর অটোরিকশার সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহত ১ আহত ১ জন।জানা যায়, আজ দুপুরে ভীমখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বড় ঘাগটিয়া গ্রামের ছুরত আলি মেহমান বাড়ি থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে অটোরিকশায় বাড়িতে আসার সময় নোওয়াগাঁও ব্রীজের উপর মোটর সাইকেলের সাথে সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলে ছুরত আলী (৬৫) মারা যান। মটর সাইকেলের চালক রুপাবালী গ্রামের বোরহান উদ্দিন (৪৫) গুরত্বর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এব্যাপারে ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, এখন পর্যন্ত নিহতের কেউ যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Saturday, 31 October 2020

জামালগঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

জামালগঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


 সুনামগঞ্জ জামালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী সামিয়া আক্তারকে (২০) গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত একটার দিকে উপজেলার মামুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা স্বামীকে জনতা আটক করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। আটক স্বামীর নাম জামাল উদ্দিন (২২)। তিনি সদর উপজেলার গৌরাঙ্গ ইউনিয়নের ইচ্চারচর গ্রামের আব্দুস ছোবানের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ বছরে মার্চ মাসে জামালগঞ্জ উপজেলার ভিমখালী ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম জিলানীর মেয়ে সামিরা বেগমকে বিয়ে করেন জালাল উদ্দিন।

মেয়ের বাবা প্রবাসী হওয়ায় যৌতুকের জন্য প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন জালাল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।

প্রায় মাস খানেক আগে নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যান সামিয়া বেগম।

শুক্রবার স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান জালাল। স্ত্রীর স্বজনরা জালালের বাবা ও মা ছাড়া তাদের মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেবেন না বলে জানালে ক্ষুব্ধ হন জালাল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি ঘুমন্ত স্ত্রীর ওপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হন।

স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।

স্ত্রীর মাথা, পেটে ও হাতে ধারালো দায়ের কোপ রয়েছে।

গভীর রাতে সামিয়ার ছটফটানি শুনে বাড়ির লোকজন দেখেন তাদের মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছেন জালাল। তারা পেছন দিক থেকে ধাওয়া করলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় হাওরে মাছ ধরায় নিয়োজিত জেলেরা জালাল উদ্দিনকে আটক করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জালাল উদ্দিনকে থানায় নিয়ে গেছে।

জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Sunday, 25 October 2020

জামালগঞ্জে বিষপানে প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ

জামালগঞ্জে বিষপানে প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ


 সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় বেহেলী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিক-প্রেমিকা। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় গোপালপুর গ্রামের জয়কিশোর দাসের ছেলে গৌরাঙ্গ দাস (২২) ও একই গ্রামের অরবিন্দু দাসের মেয়ে রিকু রানী দাস (২০) একসাথে বিষপানে আত্মহত্যা করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মৃত গৌরাঙ্গ দাসের সাথে আরেক মৃত রিকু দাসের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৯ অক্টোবর দিরাই থানাধীন ভাটিপাড়া ইউনিয়নের দত্তগ্রামের হীরালাল দাসের ছেলে গনেন দাসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রিকু রানী দাস। গত ২৩ অক্টোবর রিকু রানী স্বামী গনেন দাসকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরাযাত্রায় আসেন। ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে রিকু রানী ও গৌরাঙ্গ দাস দু’জনেই এক সাথে বিষ পান করে। পরবর্তীতে গুরুতর অবস্থায় তাদের দু’জনকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পথিমধ্যে রিকু রানী দাসের মৃত্যু হয়। তার কিছু সময় পর সুনামগঞ্জ হাসপাতাল যাওয়ার পূর্বে প্রেমিক গৌরাঙ্গ দাসের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে রিকু রানী দাসের পিতা অরবিন্দু দাস জামালগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছেন। অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টিতে সুনামগঞ্জ সদর থানায় আরেকটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, একপক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হবে।

 

Friday, 23 October 2020

হুমকির মুখে পর্যটন স্পট তাহিরপুরের লাল শাপলার বিকি বিল| Sunamganj Liveসুনামগঞ্জ লাইভ

হুমকির মুখে পর্যটন স্পট তাহিরপুরের লাল শাপলার বিকি বিল| Sunamganj Liveসুনামগঞ্জ লাইভ


কামাল হোসেন, সুনামগঞ্জ : হুমকির মুখে তাহিরপুরের লাল শাপলার বিকি বিল: গরু মহিষের খাদ্য হিসেবে স্থানীয় কৃষকরা এখন ব্যবহার করছে বিকি বিলের শাপলার ডাটা।

গত কয়েক মাস যাবৎ স্থানীয় কৃষকরা অবাধে গোখাদয়ার যোগান হিসেবে বিকি বিলের লাল শাপলা ডাটা কেটে ব্যবহার করার কারণে এখন বিনষ্টের মুখে অপরূ সৌন্দর্যের গালিচার খ্যাত তাহিরপুরের নতুন পর্যটন স্পষ্ট লাল শাপলার বিকি বিল।

গতকাল শনিবার দুপুর সরেজমিনে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের খাসতাল গ্রামের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত বিকির বিলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বিলের সৌন্দর্য বিনষ্টের কথা জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বিলে গত বছর যে পরিমাণ শাপলা ফুটতো, এ বছর তার আর দেখা মিলছে না। গরু আর মহিষের খাবারের জন্য অবাধে শাপলার ডাটা তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দ্রুত এই সম্ভাবনাময় লাল শাপলার এ বিলটিকে রক্ষায় প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ।

জানাযায়, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ গত বছরের ১২ অক্টোবর সকালে পরিদর্শনে এসে পযর্টন স্পষ্ট হিসাবে তাহিরপুর উপজেলাধীন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ টাঙ্গুয়ার হাওর, নয়নাভীরাম নিলাদ্রী ডিসি পার্ক, শহীদ সিরাজ লেক, বারেকের টিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন হলহলিয়া জমিদার বাড়ির পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিকভাবে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে লাল শাপলার বিকি বিলটি উদ্বোধন পর্যটন হিসাবে নতুন মাত্রাযোগ করেন।

এরপর বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকগন বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে লাল শাপলার বিকি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ পর থেকেই দেশ বিদেশের পর্যটকদের নজরে আসে লাল শাপলার বিকি বিল।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কাশতাল এলাকায় অবস্থিত লাল শাপলার বিকিবিলটি হলহলিয়ার চক ও দিঘলবাঁক মৌজার প্রায় ১৪.৯৫ একর জায়গা নিয়ে গঠিত। এর উত্তরে নয়নাভিরাম ভারতের মেঘালয় পাহাড়।

জানাযায়,গত এক যুগ ধরে এ বিকি বিলে সামান্য ফুল ফুটতো, কিন্তু ৪/৫ বছর ধরে পুরো হাওরে লাল শাপলা ফুটে প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য ধারণ করে। দেখলে মনে হয় কে যেন আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য লাল গালিচায় মোড়ায়ে রেখেছে। যতদুর চোখ যায় শুধু লাল আর লাল।

কিন্তু এ বছর বিকি বিলের এমন সৌন্দর্য নেই বললেই চলে। সাম্প্রতিক গত কয়েক দফা বন্যায় একদিকে বিলের সৌন্দযের্র উপড় প্রভাব পড়ে। অন্যদিকে ভয়ে যাওয়া কয়েক দফা বন্যায় এ অঞ্চলের কৃষকদের গোখাদ্য সংকটের কারণে বর্তমনে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের লোকজন অবাধে শাপলার ডাটা উপড়ে গরু মহিষের খাদ্যের জন্য বাড়ি নিয়ে গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহার করছে। বর্তমানে যা কিছ সৌন্দর্য অবশিষ্ট রয়েছে তাও এখন বিনষ্টের পথে ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকি বিল থেকে স্থানীয়রা লাল শাপলার ডাটা কেটে নৌকা বোঝাই করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে , জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক এ প্রতিবেদককে জানান, এ অঞ্চলের কৃষকেরা তাদের গরু, মহিষকে খড়ের পরিবর্তে বিলের এ শাপলার ডাটা কেটে নিয়ে খাওয়াচ্ছেন।

আমবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বাংলাদেশ কৃষকলীগ বড়দল উত্তর ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, গত বছর যেখানে প্রতিদিন ওই শতশত পর্যটক লাল শাপলার বিকি বিল দেখতে আসতো কিন্তু এবছর এই বিল কেউ আর দেখতে আসবেনা। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,
অবাধে লোকজন শাপলার ডাটা কেটে নৌকা ভরে নিয়ে যাচ্ছে । বাধা দিলেও কেউ শুনছে না। বিলের যে সৌন্দর্য ছিল সে পরিবেশটা এখন আর নেই বললেই চলে।

এ বিষয়ে বড়দল উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মাসুক মিয়া একই অভিযোগ , তিনিও জানান স্থানীয় এলাকাবাসী এই নয়নাভিরাম আপরূ সৌন্দর্যের লীলাভূমি দৃষ্টিনন্দন লাল শাপলার বিকি বিল থেকে শাপলার ডাটা উপড়ে যে যার মতো করে নিয়ে গরু মহিষকে খাওয়ানো ফেলে এর সৌন্দর্য প্রায় ধ্বংসের পথে। থানীয় লোকজনের সাথে লাল শাপলার বিকি বিলের সৌন্দর্য উদ্ধারে তিনিও দ্রুত প্রশাসনের সুদৃষ্টি কাম করছেন।

এ নিয়ে বড়দল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম জানান, কয়েক দফা বন্যায় বিলের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়েছে আর যা কিছু অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্তমানে কৌশল করেই বিলের অাশপাশের গ্রামের মানুষ বিলের এ শাপলার ডাটা কেটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে যার মতো বাড়ি নিয়ে গিয়ে গরু মহিষের খাওয়াচ্ছে ।

এর সৌন্দর্য রক্ষা করে দেশ বিদেশে এ বিলকে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় যেন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ দৈনিক জবাবদিহিকে জানান, গরু মহিষের খাবারের যোগান হিসেবে বিকি বিলের লাল শাপলার ডাটা উপড়ে গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহার করে এর সৌন্দর্য বিনষ্ট করা হচ্ছে তা আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই পর্যটন স্পষ্ট লাল শাপলার বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Monday, 19 October 2020

লড়াই হবে নৌকা ধানের শীষে |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ

লড়াই হবে নৌকা ধানের শীষে |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ


 বিশ্বজিত রায়, জামালগঞ্জ

জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন আগামীকাল (মঙ্গলবার)। এই উপজেলার নির্বাচনী প্রচারণা শেষ মূহূর্তে উৎসবমূখর হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে জেলা নেতৃবৃন্দ প্রচারণায় যুক্ত হওয়ায় এখানকার ভোটের লড়াইও নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যেই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল আল আজাদ ও বিএনপি’র প্রার্থী নূরুল হক আফিন্দী’র মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমেছে।
তবে বিএনপির আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুম মাহমুদ তালুকদারও শেষমেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওঠে আসবেন বলে দাবি তার সমর্থকদের। অবশ্য তার আপন চাচা ফয়জুল আলম তালুকদার মোহন প্রার্থী থাকায় বেকায়দায় মাসুম।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল আল আজাদ প্রয়াত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি ভোটের মাঠে পিতার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে প্রচারণায় কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন।
ইকবাল আল আজাদের নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ও জেলা নেতারা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত্, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল এবং সাবেক ছাত্রনেতা শাহরিয়ার চৌধুরী বিপ্লব সহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিপূল সংখ্যক নেতাকর্মী শেষের দিকে ইকবাল আল আজাদের নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত ছিলেন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নূরুল হক আফিন্দী উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবারের চেয়ারম্যান। ভোটের মাঠের শক্তিশালী এই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষেও মাঠ চষে বেড়িয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল, যুক্তরাজ্য আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক আফিন্দী লিটন, জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকতসহ অনেকে।
এছাড়া বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুম মাহমুদ তালুকদারও তার বাবা সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম তালুকদার ঝুনুর পরিচয় তুলে ধরে ঘুরেছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে।
প্রচারণার শেষ দিনে প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টরা সুষ্ঠু, সুন্দর ভোটের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবাল আল আজাদ বললেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন জনগণের পাশে ছিলেন। নিঃস্বার্থভাবে তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী বাবার যোগ্য উত্তরসুরী মনে করে মানুষ আমাকে ভোট দেবেন বলেই আমার প্রত্যাশা। বর্তমান সরকারের সময়কালে জামালগঞ্জের হাওরের পাড়ে পাড়ে উন্নয়নের ঢেউ লেগেছে। ভোটারগণ এই সুবাতাস ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিতে আমি ভোটারদের সহযোগিতা চাই।’
বিএনপি প্রার্থী নূরুল হক আফিন্দী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মাঝে ভোট নিয়ে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। আমরা পরস্পর শুনতেছি কেউ কেউ বলছেন নৌকায় ভোট দিলেও পাস, না দিলেও পাস। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ থাকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি সজাগ থাকে তাহলে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। আমি বিশ্বাস করি প্রশাসন এ ব্যাপারে সজাগ থাকবেন।’
মাসুম মাহমুদ তালুকদার বলেন, ‘আমি জনগণের মনোনীত প্রার্থী। আমার নির্বাচনে আসার সাহস জনগণ দিয়েছেন। নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত অনুকূলে আছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে আমি বিজয়ী হবো।’
মাসুম মাহমুদ তালুকদারের চাচা ফয়জুল আলম মোহন বলেন, ‘জনগণের সাড়া আছে, মানুষ আমাকে পছন্দ করে, ১৪ টি গ্রাম ঐক্যজোট হয়ে আমাকে সমর্থন করেছেন। ভোট সুষ্ঠু হবে এবং আমি জয়লাভ করবো।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, এখনো পর্যন্ত কোন কেন্দ্র থেকে এ ধরণের কোন অভিযোগ পাই নি, শুনাও যায় নি। আশা করি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আগামীকাল ২০ অক্টোবর জামালগঞ্জের উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে ৪৬ টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ ভোটার ভোট প্রয়োগ করবে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই উপজেলা পরিষদের ৩ বারের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ মৃত্যুবরণ করায় এখানকার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Wednesday, 14 October 2020

জামালগঞ্জ উপজেলা উপনির্বাচন - ট্রাম কার্ড ভীমখালী ইউনিয়ন |Sunamganj Live

জামালগঞ্জ উপজেলা উপনির্বাচন - ট্রাম কার্ড ভীমখালী ইউনিয়ন |Sunamganj Live


আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে জামালগঞ্জ উপজেলা উপ নির্বাচন।  সময় যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী প্রচারনা তুঙ্গে উঠছে , তৃণমূল পর্যায়ে চলছে নির্বাচনের চুল ছেড়া বিশ্ল্লেষণ।  কথা হয় অনেক তৃণমূল নির্বাচনী বিশ্ল্লেষকদের সাথে। 
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী।এর মধ্যে দুইজন স্বতন্ত্র 
প্রার্থী তাও একই পরিবারের সদস্য। প্রার্থীদের নিজস্ব ইউনিয়নের বাহিরে প্রধান টার্গেট হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি খ্যাত ভীমখালী ইউনিয়ন।তৃণমূল নির্বাচনী বিশ্ল্লেষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় -কাস্টিং ভোটের উপর টার্গেট করে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী নুরুল হক আফিন্দি তাঁর নিজ ইউনিয়ন সাচনা বাজারের ভোট ব্যাংকে ব্যাক্তি ইমেজ ও দলীয় ভোটের হিসাব করলে দেখা যায় কাস্টিং ভোটের ৬০% ধানের শীষের ২০% নৌকার এবং ১৫% আনারসের আর ৫% ভোটে ঘোড়াতে পড়বে।  সাচনাবাজার ইউনিযনের নুরুল হক আফিন্দীর ৬০% ভোট এর মধ্যে ১০% ভোট আসবে আওয়ামীলীগের ভোটে থেকে কারন রেজাউল করিম শামীম মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে অনেক আওয়ামীলীগের সমর্থিত শামীম অনুসারীদের ভোট চলে যাবে ধানের শীষে এমনটিই তৃণমূল বিশ্ল্লেষকদের ধারণা। 
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হিসাব করলে দেখা যায় এখানে আনারস ও নৌকার ভোট বেশি।  ৪০ % ভোট পাবে নৌকা, ৩০ % ভোট পাবে আনারস, ২০% ভোট পাবে ধানেরশীষ এবং ১০% ভোট পাবে ঘোড়া। জামালগঞ্জ উত্তর উনিয়নের ভোট হিসাব করলে সমান সমান ভোটে পাওয়ার আশংকা ধানেরশীষ  ৩০% , নৌকা ৩০% ,আনারস ৩০% ও ১০% % ভোট পাবে ঘোড়া (কিছুটা তারতম্য থাকবে )।  ফেনারবাক উনিয়নের ভোট বন্টন খুব গুরুত্বপূর্ণ, হিন্দু সমপ্রদায় বেশি ও বর্তমান আওয়ামীলীগ মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি উক্ত ইউনিয়নের হওয়ার কারনে নৌকার ভোট ব্যাংক সব চাইতে বেশি।    ফেনারবাক উনিয়নের ভোট হিসাব করলে দেখা যায় ৫০% ভোট নৌকার , ৩০% ভোট ধানের শীষের , ১৫%ভোট আনারসের ও ৫% ভোট ঘোড়ার। বেহেলী ইউনিয়নেও রয়েছে ধানের শীষ ও নৌকার সমান ভোট তবে এখানেও নৌকার কিছু ভোট এসে ধানের শীষে যুক্ত হবে , এতে ধানের শীষ ৫০% , নৌকা ৪০% , আনারস ১০% ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা  আছে। ভীমখালী ইউনিয়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হট পয়েন্ট স্বভাবজাত কারণে বিএনপির ভোট ব্যংক এই উনিয়নের , ২য় স্থানে রয়েছে আওয়ামীলীগ।  ভীমখালী ইউনিয়নে কট্টর আওয়ামীলীগের  পরিমান কম হলেও নব্য আওয়ামীলীগ এর সংখ্যা বেড়েছে তবে রেজাউল  করিম শামীমের অনুসারীদের ভোট আওয়ামীলীগের ব্যাংকে যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।  উক্ত ভোট গুলো চলে যেতে পারে ধানের শীষ ও আনারসে যদি তাই হয় তাহলে ভীমখালী ইউনিয়নে সবচেয়ে কম ভোট পাবে নৌকা।  এখানে হিসাব করলে দেখা যায় কাস্টিং ভোটের ৫০% ভোট পাবে ধানের শীষ ,  ২৫% ভোট পাবে আনারস , ২০% ভোট পাবে নৌকা ও ৫% ভোট পাবে গোড়া। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে এমন হিসাবই পাওয়া যায়। গড় হিসাব করলে দেখা যায় ধানের শীষ বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয় লাভ করবে। তবে জগন্নাথপুর পৌরসভা উপনির্বাচনের হাল চিত্র লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রশাসনিক প্রভাবে নৌকা পাশ করে।  এরকম যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন না হয় তাহলে কোনো  হিসাবেই কাজ হবে না -নৌকারই জয় হবে। 
তবে ভীমখালী ইউনিয়নের নির্বাচনী হিসাব নিয়ে এখনো ধুয়াঁশা রয়ে গেছে প্রত্যেক প্রার্থীরই টার্গেট ভীমখালী ইউনিয়ন , বিশ্ল্লেষকদর মতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ভীমখালী ইউনিয়নে যে প্রাথী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে তাঁরই জয়ের আশংখা বেশি।  সব প্রার্থীরই টার্গেট এখন এই হট পয়েন্ট।  তাই নির্বাচনী প্রচারনার দৌড়ঝাঁপ ভীমখালী ইউনিয়নেই বেশি।  উপরোক্ত বিশ্ল্লেষণ শুধু মাত্র একটি ধারণা ভিত্তিক বিশ্ল্লেষণ। 

লেখক : আরিফ মাহফুজ , সাংবাদিক -কলামিস্ট।

Thursday, 8 October 2020

`স্যার' না বলায় উত্তেজিত দিরাইয়ের ইউএনও |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

`স্যার' না বলায় উত্তেজিত দিরাইয়ের ইউএনও |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


 স্যার না বলায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ওপর চটে গেলেন সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফি উল্লাহ।

উত্তেজিত হয়ে এ সময় ইউএনও সাংবাদিককে বলেন, আপনি কোন পত্রিকায় কাজ করেন? পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন ইউএনও কে ভাই ডাকছেন কেন? পরবর্তীতে ক্ষেপে গিয়ে শফি উল্লা আবারও বলেন, ইউএনও কে ভাই ডাকা যাবে না। আপনি জানেন না একজন ইউএনওকে স্যার বলতে হয়?
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ‌‌‌‌পরিবেশ ও হাওর ধ্বংসকারী প্লাস্টিকের ছাই তৈরি করা হয়- শীর্ষক বিষয়ে পেশাগত কাজে সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক সিলেট মিররের প্রতিবেদক ও দিরাই উপজেলার স্থানীয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জাগো ভাটির নির্বাহী সম্পাদক আশরাফ আহমদ বুধবার বিকেলে মুঠোফোনে ইউএনও’র বক্তব্য জানার জন্য ফোন করেন। মুঠোফোনে আলাপের শেষে ইউএনওকে ভাই বলে সম্বোধন করায় উত্তেজিত হন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে ওই সংবাদকর্মী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদকে ভাই বলে সম্বোধন করার বিষয়টি অবহিত করলে ইউএনও শফি উল্লাহ বলেন, ডিসি সাহেব কে ডাকছেন- ডাকেন। কিন্তু আমাকে ভাই ডাকা যাবে না।

এ ব্যাপারে জৈন্তা বার্তা থেকে ইউএনও শফি উল্লা’র সাথে রাতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি।

উল্লেখ্য; চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুদক কার্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আমরা চাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সেবাগ্রহীতা নাগরিকদের ‘স্যার’ সম্বোধন করবেন, নাগরিকরা না।’

কালো পতাকা মিছিল: আরিফ মাহফুজ |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

কালো পতাকা মিছিল: আরিফ মাহফুজ |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


নির্বাক আর কিংকর্তব্য বিমূঢ় অবস্থায় কাটছে দিনগুলো।  প্রশ্ন জাগে এটাই কি আমার দেশ ? এটাই কি আমার জন্মভূমি ? প্রতিদিনই ফেইসবুক ওয়ালে পোষ্ট দিতে চাই কিন্তু পারি না।  ফেইসবুক এর পোষ্ট অপশন জিজ্ঞেস করে 'হোয়াটস ইন ইওর মাইন্ড ' -তাকে বলি আমার মাইন্ডে তো অনেক কিছুই আছে  কিন্তু তুমার বক্সে লিখতে পারিনা , লিখলে অনেকেই মাইন্ড করবে।  সব কি আর লিখা যায় ? না যায় না , কিছু ধূসর রয়ে গেছে সমাজে যাদের জন্য কলমও অনেক সময় থমকে যায়। লিখতে গিয়েও লিখিনা।  সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রচন্ড ভাবে দংশন করে প্রতিনিয়ত।  বাধ্য করে দেয় কলম ধরতে।  একের পর এক গণধর্ষনের মত ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটছে  দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। নারীর প্রতি কেন এই সহিংসতা ? ধর্ষনের রঙ্গ মঞ্চ আজকের বাংলাদেশ। ধর্ষনের হিড়িক যা ইতি পূর্বে কখনোই দেখা যাই না শুধু ১৯৭১ সাল ব্যাতীত।  ১৯৭১ সালে ধর্ষন  করেছে পাকিস্তানি সেনারা আর সাথে ছিল গাদ্দার কিছু পিচাশ অমানুষ যাদেরকে আমরা রাজাকার বলি।  রাজাকের বিচারও এদেশে হয়েছে দলীয়করনের মধ্যেদিয়ে। যাই হউক সেদিকে গিয়ে লাভ নেই।   বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ) সম্মীক্ষা মতে শুধু চলতি বছরের ধর্ষনের হিসাব দেখেই মস্তিস্ক হ্যাং হয়ে যায়।  চলতি বছরে গত আট মাসে সারা দেশে ৮৯২ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ১৯২ টি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।  ৪১ জন ধর্ষণের পরে আহত অবস্থায় মারা গেছেন, ৯ জন ধর্ষণের পরে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন বলে  জানা গেছে। ধর্ষন ছাড়াও নারী নির্যাতনের হিসাব অগনিত।  স্কুল ছাত্রী , গৃহবধূ এমনকি ৭৫ বছরে বৃদ্ধাও এর  বাহিরে নয়। ধর্ষনের আইনগত বিচার সঠিক সময়ে না হওয়ার কারনেই  ঘটনার পরিসংখ্যান দিনদিন বাড়ছে। দেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষন মামলার বিচার  ১৮০ দিনের মধ্যে হতে হবে কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।  ধর্ষনের বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য নারীবাদী নেত্রীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।  বর্তমানে ঘটেযাওয়া ধর্ষনের প্রতিবাদে সারা দেশের স্কুল-কলেজ - বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে।  কিন্তু নারীবাদী নেত্রীরা চুপ করে লুকিয়ে আছেন। কিন্তু কেন ? কার ভয়ে বা কার সমর্থনে তাঁরা নিশ্চুপ এটা আজ দেশের মানুষের কাছে প্রধান প্রশ্ন।  তাহলে আজ যারা বেপরোয়া ধর্ষক তাদের সাপোর্ট করতে কি তাঁরা আজ নীরব ?  সবগুলো ধর্ষনের নায়ক আজকের ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা।  পেছনে রয়েছে আওয়ামী গড ফাদাররা।  সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার কথা বলে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ, মেসের রুমের টাইলস পরিষ্কার করার কথা বলে কেরানীগঞ্জে নারীকে ধর্ষণ, খাগড়াছড়িতে ডাকাতি করতে ঘরে ঢুকে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, খাগড়াছড়িতে চাকমা সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষন , সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষন , নোয়াখালীর আলোচিত ধর্ষণ সহ সবগুলো ধর্ষনেই ছাত্রলীগ কর্মীরা অভিযুক্ত। সরকারের মদদেই আজ বেপরোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ। লাগামহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে কারি কারী টাকা আয় করে বেসামাল তাঁরা। ক্ষমতা আর টাকার গরমে দিশেহারা।  তাঁরা না মানে প্রশাসন না মানছে পারিবারিক আদর্শ। বেশিরভাগই পিতামাতার অনুগত নয়।  ছাত্রলীগ কর্মীরা অনুগত আওয়ামীলীগ নেতাদের অনুগত।  নেতারা তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে ছাত্রলীগ যুবলীগ কর্মীদের। আর এসব নেতাদের আশ্রয় -পশ্রয় দিচ্ছে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মন্ত্রী এমপিরা। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির চিত্র আজ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।  শিক্ষা, চিকিৎসা ,স্বাস্থ্য ,অর্থনীতি সবক্ষেত্রে হরিলুট যার তালিকা কাগজ কলমে  ধরে না। প্রশাসনিক লেভেলেও দুর্নীতি- অনিয়ম চরম পর্যায়ে।  মানুষের জান  মালের নিরাপত্তা আমরা হারিয়েছি অনেক আগেই কিন্তু শেষ পর্যায়ে হারালাম মা-বোনদের ইজ্জতের নিরাপত্তা। যে রাষ্ট্র নারীর ইজ্জত রক্ষায় আহাজারি করছে সে রাষ্ট্রের অধিকর্তারা রাষ্ট্রের জন্য কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন ? মন্ত্রী।,এমপি, আমলাদের বউ-বোনদের তো কোনো নিরাপত্তার অজুহাত নেই কারন তাঁদের  লালিত ছেলেরাই তো ধর্ষণে সেঞ্চুরি করছে তাই মন্ত্রী এমপিদের বউ-বোনদের নিরাপত্তা ১০০% . কিন্তু যে সাধারণ জনগণের ভোটে এমপি মন্ত্রী হলেন , যে সাধারণ নাগরিকদের টাকায় দেশ চলে ,আমলারা চলে তাঁদের জীবন ও ইজ্জতের কোনো নিৰাপত্তা নাই কেন ? বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করা হচ্চে চরম ভাবে তাই বিচার বিভাগ অসহায় তা না হলে ১৮০ দিনে যে বিছার কার্য সম্পাদন হওয়ার কথা সেটা সম্পন্ন হতে বছরের পর বছর লাগবে কেন ?  বিচারহীনতার কারণে বেড়েই চলছে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।  ''নো অ্যাকশন নো রিঅ্যাকশন '' প্রতিচ্ছবি  প্রতিফলিত হচ্ছে।  আজকে সরকার যদি সঠিক থাকতো ধর্ষণতো  দূরের কথা মেয়েদের চোখের দিকেও তাকাতে পারতো না ছাত্রলীগ।   বিচারকার্যে রাজনৈতিক প্রভাব, নৈতিকতা ও সামাজিক অবক্ষয়ও এর জন্য  সম্পূর্ণভাবে দায়ী ।  রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা  কমিয়ে , এবং বিদেশী অর্থায়নে চলা এনজিও কর্মীদের জোরালো ও সোচ্ছার ভূমিকা পালন করতে হবে এসব অপরাধ ঠেকানোর জন্য ,প্রত্যেক মানবাধিকার কর্মীকে সরকারের বন্ধনা -ভজনা ত্যাগ করতে হবে।  তবে সামাজিক দায়বদ্ধতা না এড়িয়ে প্রতিটি পরিবারের অভিভাবকদেরও দৃষ্টি দিতে হবে নিজের ছেলে সন্তানের প্রতি।  পারিবারিকভাবে নাগরিক সতর্কতা একান্ত প্রয়োজন।  ধর্ষণ যে কোনো  সময় বা যে কোনো স্থানেই হউক না কেন তার মূল্য সমান , নির্দিষ্ট কোনো স্থানের , জেলার , শহরের ধর্ষণকে ভিন্ন গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন নেই।  নারীর সম্মান সবখানে -সবারই সমান। নোয়াখালী ও সিলেটের ধর্ষণে বিচার কঠোর হস্তে হবে বলে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন -এরকম আবাল মার্কা কথা একদম ঠিক না -নোয়খালী আর সিলেটের ধর্ষণ কোনো আলাদা বিষয় নয় , অন্নান্য  ধর্ষণ একই বিষয় , অপরাধ সমান।  সব ধর্ষণের অপরাধীদের দ্রুত বিচার করুন।  বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিন ,আর ছাত্রলীগ -যুবলীগকে সামাল দিন তাহলেই দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।  আর না হয় আপনাদের সোনার  ছেলেদের দ্বারা হঠাৎ  দেখবেন আপনাদের    মেয়ে -বোন-বউ ধর্ষিত হয়ে গেছে।  আজ আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যমে উঠে আসছে লোমহর্ষক গণধর্ষণের ঘটনা যা বাঙালি জাতির জন্য লজ্জা। ধর্ষণের প্রতিবাদে আজ সমস্ত জাতি ফুঁসে উঠেছে , মানুষের পিঠ আজ দেয়ালে  আটকে গেছে  , বাঙালি জাতি আবারো দেখাবে  অন্যায়ের প্রতিবাদের ফসল কিভাবে আন্তে হয়। অন্যায়ের  প্রতিবাদের ফসল আমাদের মাতৃভাষা ,  অন্যায়ের প্রতিবাদের ফসল আমাদের স্বাধীনতা।  যে যেখানে আছে কালো অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ছিনিয়ে আনতে হবে আরেকটি ফসল -বাঁচাতে হবে আমার  বোনের ইজ্জত, আনতে আমার মা বোনদের ইজ্জতের নিরাপত্তা পতাকা . তাই কালো পতাকা মিছিল হবে -ঘরে ঘরে উঠুক কালো পতাকা , আজ বিজয়ের পতাকার সাথে থাকবে  কালোপতাকা উড্ডীয়ম্যান।  ধর্ষকদের দ্রুত বিচার না হওয়া পর্যন্ত সাধারন ছাত্র- জনতা চালাবে কালো পতাকা মিছিল।  

 লেখক : আরিফ মাহফুজ , সাংবাদিক-কলামিষ্ট , যুক্তরাজ্য থেকে।

Saturday, 3 October 2020

সিলেট নগরীতে এবার কিশোরী ‘ধর্ষিত’, এবারও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী

সিলেট নগরীতে এবার কিশোরী ‘ধর্ষিত’, এবারও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী


সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যে এবার নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত কিশোর নিজু আহমদ (২০) ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলেও জানা গেছে। ওই কিশোরী এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছে।কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে ধর্ষণ করে ওই কিশোর।
জানা যায়, অভিযুক্ত নিজু আহমদ দাঁড়িয়াপাড়া ১৪/বি বাসার বাসিন্দা এবং মদন মোহন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে নিজু আহমদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে বাসায় এনে ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরের দিন তাড়িয়ে দেয়। পরে ওই কিশোরী ধর্ষণের বিষয়টি তার বাসায় জানায়।
ঘটনা জানার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন। এরপর রাতে ওই কিশোরীর মা নিজু আহমদকে আসামী করে সিলেট কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩ (০৩.১০.২০)।
এ ব্যাপারে সিলেট নগরের ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট বলেন, আমিও এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সম্ভবত ২/৩ দিন আগে ঘটেছে। অভিযুক্ত কিশোর দাড়িয়াপাড়া এলকায় ভাড়া থাকে। আর কিশোরী নগরের আরেকটি এলাকায় থাকে।
তিনি বলেন, অভিযোগকারী কিশোরীর পরিবার আর্থিকভাবে তেমন স্বচ্ছল নয়, তাই দুদিন আগে ঘটনা ঘটলেও সম্ভবত সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছিলো। আবার তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলেও একটি পক্ষ দাবি করেছে। যদিও কোনো কিছুই এখন পর্যন্ত আমি নিশ্চিত নই।
সম্রাট বলেন, অভিযুক্ত কিশোর ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে যায় বলে শুনেছি। এখন তো সবাই-ই ছাত্রলীগ।
এ ব্যাপারে কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা শুক্রবার মধ্যরাতে বলেন, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত কিছু এখনও জানি না। এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম নামে তিন ছাত্রলীগ নেতা শুক্রবার (২ অক্টোবর) দায় স্বীকার করে আদলতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Saturday, 26 September 2020

ছাত্রলীগের হাতে বিগত ১১ বছরে খুন ৩৬ মেধাবী ছাত্র|Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

ছাত্রলীগের হাতে বিগত ১১ বছরে খুন ৩৬ মেধাবী ছাত্র|Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


স্বাধীনতার পর দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত্যার রাজনীতি চালু করে আওয়ামী ছাত্রলীগ। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায় ছাত্রলীগ। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা শফিউল আলম প্রধান সূর্যসেন হল থেকে ধরে এনে মুহসীন হলে ৭ জন ছাত্রকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। সেই থেকে শুরু যার শেষ বলি হলো বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফরহাদ। ১৯৭৪ থেকে ২০১৯ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী। বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যাকান্ড তারই ধারাবাহিকতা। নাগরিক সমাজের সময়ের দাবি ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুন হয়েছেন ৩৩ জন মেধাবী ছাত্র। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের আধিপত্য বিস্তার, সিট দখল, হল দখল নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি মূলত এসব হত্যাকান্ডের প্রধান কারণ।
ফেসবুকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির প্রতিবাদে নিজের মত জানানোর কারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় এখন তোলাপাড় আন্তর্জাতিক মহলসহ সারাদেশ। বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন লাখো কোটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। যে স্ট্যাটাসের জেরে তাকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েটের একই হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। প্রতিটি হত্যাকান্ডের ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথা মেনে তদন্ত কমিটি করেছিল। থানাতেও মামলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক ডামাডোলে হারিয়ে গেছে এসব মামলা। তাই বিচারের অপেক্ষায় থাকা স্বজনদের আহাজারি কখনোই শেষ হয় না।
গণমাধ্যমে বেরিয়ে আসা সেসব হত্যাকান্ডের ঘটনাগুলো জড়ো করে দেখা যায়, গত ১০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বুয়েট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চবি) দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে লাশ হয়েছেন ৩৩ জন শিক্ষার্থী। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জেলা কমিটিগুলোতে ছয় বছরে ছাত্রলীগ নিজেদের মধ্যে বা অন্য সংগঠনের সঙ্গে অন্তত পাঁচ শতাধিক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এতে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিহত হয়েছেন ৩৩ জন। এদের মধ্যে নিজ সংগঠনের ১৬ আর বাকিরা প্রতিপক্ষ সংগঠনের নেতাকর্মী কিংবা সাধারণ শিক্ষার্থী, রয়েছে ১০ বছরের শিশু রাব্বীও। দেখা গেছে, এসব হত্যাকান্ডের অধিকাংশের বিচার হয়নি। সরকার ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বিচার কার্যক্রম মুখথুবড়ে পড়েছে বলে মনে করেন নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা। বিচার না হওয়ায় অব্যাহতভাবে চলছে একের পর এক হত্যাকান্ড। ২০১২ সালে জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে নিহত বিশ্বজিৎ দাসের বড় ভাই উত্তম দাস গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাগুলোর সঠিক বিচার হলে অনেকাংশে সংঘর্ষ কমে আসত। আমরা এই রায় কার্যকর দেখতে চাই।
ঢামেক থেকে শুরু : ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজেদের সংঘর্ষে প্রথম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে ওই বছরের ৩০ মার্চ। নিহত হন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আসাদ ওরফে রাজীব। এ হত্যার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্য রূপ লাভ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলই এ হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী। ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নির্মমভাবে খুন হন মেধাবী ছাত্র আবু বকর। এ হত্যা মামলায় সব আসামি ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ২০১০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির রাতে চট্টগ্রামের ষোল শহর রেলস্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মহিউদ্দিন কায়সারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার জন্য ছাত্রলীগ ও শিবির একে অপরকে দায়ী করে। পরে মহিউদ্দিনকে নিজেদের কর্মী দাবি করে চবি ছাত্রলীগ ও শিবির উভয় দলই। ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শাহ আমানত হল ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন নিহত হন। ২০১০ সালের ২৮ মার্চ রাতে শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম শহর হতে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চবি মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র হারুন অর রশীদকে গলাকেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল চবি ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অ্যাকাউন্টিং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান নিহত হন। ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় মুজাহিদ ও মাসুদ বিন হাবিব নামের দুই শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চবির ২নং গেট সংলগ্ন নিজ বাসায় খুন হন ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ। এ হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত আসামিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন রাবির শিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানী। পরের বছর ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখলকে কেন্দ্র করে শিবির-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মী ও গণিত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন। ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট শোক দিবসে টোকেন ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শাহ মখদুম হলের দোতলার ছাদ থেকে ছাত্রলীগ কর্মী নাসিরুল্লাহ নাসিমকে ফেলে হত্যা করে ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা। ২০১২ সালের ১৫ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান ওরফে সোহেল। পদ্মা সেতুর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এই আভ্যন্তরীণ কোন্দল লাগে বলে রিপোর্টে প্রকাশ। ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রস্তুম আলী আকন্দ। ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল নিজ কক্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: কোনো শিক্ষার্থী নয় বাকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলীতে বলি হন ১০ বছরের শিশু রাব্বি। ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটে। ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ নিজ দলের নেতাকর্মী হাতেই প্রাণ হারান আশরাফুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সায়াদ ইবনে মমাজ। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে বলে সে সময় জাতীয় সব গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: এ হত্যাকান্ডের ছবি ও ভিডিও প্রকাশের পর সারা দেশ প্রকম্পিত হয়। শিবির সন্দেহে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচির দিনে এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটে। এ ঘটনায় আটজনের মৃত্যুদন্ড ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত দুজন ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১১ জনই ‘পলাতক’ রয়েছেন।
ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের মধ্যে অন্তর্কলহের জেরে এক হামলায় গুরতর আহত হন জাবির ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ হত্যাকান্ডের পর ক্যাম্পাসে তীব্র আন্দোলনের মুখে তৎকালীন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ২০১২ সালের ৯ জুন সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ফাহিম মাহফুজ বিপুল। ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালইয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা পড়েন হাবিপ্রবির বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জাকারিয়া ও কৃষি বিভাগের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মিল্টন।
২০১২ সালের ১২ মার্চ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল আজিজ খান সজীব খুন হন।
২০১৪ সালের ১৪ জুলাই ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাইমুল ইসলাম রিয়াদ খুন হন।
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারান ছাত্রলীগ কর্মী ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সুমন দাস।
বিভিন্ন কলেজে আরও ১১ খুন : ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ বছরের ৪ জুন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন কলেজ ছাত্রদলের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ও কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাওহীদ ইসলাম। পরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। চলতি বছর প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন সিলেটের মদনমোহন কলেজের ছাত্র সোহান। ২৭ জুলাই সিলেটের পাঠানটুলায় গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু নিজ দলের কর্মীদের হামলায় নিহত হন। ২০১৩ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আসাদুজ্জামান ফারুক নামে কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শেষ বর্ষের এক ছাত্র মারা যান। সিলেট এমসি কলেজে ২০১২ সালের ১৬ জুলাই ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হাসান। ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও পলিটেকনিকে ফাও খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে রাইসুল ইসলাম রাসেল নামে এক শিক্ষার্থী মারা যান। ১৯ অক্টোবর ছাত্রদল কর্মীদের হাতে খুন হন মদনমোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আল মামুন শিহাব। ২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আবিদুর রহমান নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী হত্যার শিকার হন নিজ সংগঠনেরই কর্মীদের হাতে। ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রমৈত্রীর সহ-সভাপতি রেজানুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ২১ জানুয়ারি পাবনা টেক্সটাইল কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফা কামাল শান্তকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে যুবলীগ কর্মীরা। একই বছর ১২ জুলাই ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হন সিলেট এমসি কলেজের গণিত বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী উদয়েন্দু সিংহ পলাশ।
সাধারণও বাদ পড়েনি: ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মারা গেছেন নিরীহ মানুষ ও শিক্ষার্থী। বাদ পড়েনি শিশুও। ২০১৩ সালের ২৪ জুন চট্টগ্রামে রেলের দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে গোলাগুলিতে আট বছরের শিশু আরমান হোসেন ও ২৫ বছরের যুবক সাজু পালিত মারা যান। একই বছরের ১৯ জানুয়ারি আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারিতে নিহত হয় শিশু রাব্বী। গত ১৪ ই জুন ২০২০ রবিবার 
পাবনার চাটমোহরে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে প্রতিপক্ষের অস্ত্রাঘাতে হাবিবুর রহমান হাবিব (২২) নামের এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খুন হয়েছেন

বিশিষ্টজনরা বলেছেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের ধারপ্রান্তে। নেই সুষ্ঠুধারার ছাত্র রাজনীতি, আছে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের একক আধিপত্য। যার ফলে এ সব ঘটনা ঘটছে। এটা দেশের জন্য অশনি সঙ্কেত বয়ে আনবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকমল বড়–য়া গণমাধ্যমকে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কোন্দল, হল দখলের রাজনীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। এর পরিবর্তন আবশ্যক। নইলে দেশের জন্য অশনি সঙ্কেত বয়ে আনবে। সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠুধারার রাজনীতি চালু করলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে দেখিনি, একটি হত্যাকান্ডের ঘটনার বিচার হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নাট্যকার মলয় ভৌমিক বলেন, আমি আমার ৩৫-৩৬ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, একটি হত্যাকান্ডেরও বিচার হয়নি। ঠিকমতো বিচার চাওয়াও হয়নি, বরং লাশের রাজনীতি হয়েছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ঘটনা ঘটেছে।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্তৃক তরুণীকে গণধর্ষণ |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্তৃক তরুণীকে গণধর্ষণ |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ


সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর টিলাগড়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের  সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রনজত সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুনী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এসময় তাদের সাথে থাকা ৯০ টি মডেলের একটি কারও ছিনিয়ে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে কারটি তাদের জিম্মায় নেয়। এবং তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে প্রেরণ করে।
এদিকে ঘটনার পরপর র‌্যাব-৯ সিলেটের এএসপি সামিউল আলম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

Wednesday, 23 September 2020

উজানের নৌকা ভাটিতে : আরিফ মাহফুজ |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

উজানের নৌকা ভাটিতে : আরিফ মাহফুজ |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


নিরপেক্ষ দৃষ্টি ভঙ্গিতে রাজনৈতিক সমীকরণ বিশ্ল্লেষণের অধিকার সবারই আছে। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক চর্চাকে পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক গবেষকরা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পটভূমি হিসাবে উল্লেখ করেন স্থানীয় রাজনীতিকে।  যার সমীকরণ মিনিটে মিনিটে পরিবর্তন হয়। তবে জাতীয় রাজনীতির ভিত কিন্তু প্রকট ভাবে নির্ভর করে স্থানীয় বা তৃণমূল রাজনীতির উপর। স্থানীয়  বা   তৃণমূল রাজনীতি হলো  জাতীয় রাজনীতির মেরুদন্ড।প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তৃণমূলের উপর নির্ভরশীল বলেই সব সময় তৃণমূলকে সংগঠিত করার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরত্ব প্রদানের মাধ্যমে সময় ব্যয়  করা হয় ।
আবার দলীয় কট্টর নেতাদেরও খুব গুরুত্ব দেয়া হয় এবং এটাই উচিত। কর্মী থেকে  তিলে  তিলে নেতা হওয়া নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা  প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নীতি গত বৈশিষ্ট।  কিন্তু হঠাৎ  কিছু ব্যাতিক্রম ঘটনা লক্ষ্য করা যায় যা থেকে রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে মহা সংকটে কিংবা চিন্তায় পরে যান রাজনৈতিক বিশ্ল্লেষকরা বা সুশীল সমাজের চিন্তাবিদরা। এরকম বিষয় যে কোন রাজনৈতিক দলেই ঘটুকনা কেন। সম্প্র্রতি জামালগঞ্জ উপজেলার উপনর্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রাথী নির্বাচনে অত্যন্ত নাটকীয় পটভুমির জন্ম হয়ে গেলো। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে গত ১৮ই সেপ্টেম্বর জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর তৃণমূল পর্যায়ে একটি ভোটাভোটি হয়ে গেলো -যেখানে ৬১টি ভোট আর মধ্যে ৫৭টি ভোট পেয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজাউল  করিম শামীম। রেজাউল করিম শামীমের তৃণমূল নির্বাচনের রায় পরিষ্কার করে দিয়েছিলো যে তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন বা তিনিই যোগ্য প্রার্থী। কিন্তু বেলা শেষে বদলে গেলো দৃশ্যপট -ট্রেলার যেরকম ছিল ফুল মুভি উল্টো। দল থেকে মনোনয়ন পেলেন তৃণমূল নির্বাচনে ৪ ভোট পাওয়া ইকবাল আল আজাদ। তার মানে রাজনীতির বা রাজনৈতিক দলের  ট্রেলার আর ফুল মুভি এক হয় না। এবার আসা যাক মূল বিশ্ল্লেষণে -ইকবাল আল আজাদের মনোনয়ন পাওয়াকে সবারই স্বাগতম ও অভিনন্দন জানানো উচিত -দলের সবাই ও উপজেলাবাসী সবাই তাঁর জন্য শুভ  কামনা করছে -এটাই স্বাভাবিক। সে তাঁর চেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করেছে। এখন কথা হলো মনোনয়ন প্রদান কারীরা প্রাথী নির্বাচনে কি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ? নাকি স্বজন প্রিয়তায় গা ভাসিয়ে প্রাথী দিয়েছেন। নিরপেক্ষতায় থাকলে দৃষ্টি প্রক্ষেপন কি বলে ? মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিলো রেজাউল করিম শামীম -কিন্তু কেন তিনি পাননি ? তাহলে কি পূর্বের বিরাগভাজন কারীরাই  কল কাঠি নেড়েছেন ? যদি তাই হয় তাহলে সারাজীবন একই দলে রাজনীতি করে জীবন পার করে লাভ কি ? বর্ষীয়ান খেতাব লাগানোর দরকার কি ? রেজাউল করিম শামীম একজন কট্টর পন্থী আওয়ামীলীগার।   দল  ত্যাগ দল পরিবর্তন  করতে তাঁকে দেখা যায়নি কখনো। তিনি একনিষ্ঠ একজন আওয়ামীলীগার।গত উপজেলা নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েও তিনি মনোনয়ন পাননি , পরে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করেন।  যদিও গবেষকদের মতে  গত উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তাঁর নির্বাচন করা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিলোনা। গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়াটাই আজকের প্রেক্ষাপটের জন্য দায়ী। 
তাছাড়াও স্থানীয় অনেক বিষয়ে জড়িত হওয়া নিয়ে রেজাউল করিম শামীমকে নিয়ে নেগেটিভ গুঞ্জন রয়েছে  যা বর্তমান প্রেক্ষাপট সৃষ্টির পিছনে কাজ করেছে। তবে ছোট থেকে বড়  বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতাদেরই নেগেটিভ গুঞ্জন থাকে।  তাই বলে একজন বর্ষীয়ান নেতাকে মূল্যায়নের বাহিরে ফেলে দেয়া কোনো রাজনৈতিক দলেরই উচিত না বা কাম্য নয় ।  এরকমই যদি হয় তাহলে মানুষ প্রকৃত রাজ নীতি থেকে সরে যাবে।  নতুন প্রজন্ম ধরে নিবে নেতৃত্বে আসার জন্য রাজনীতির দরকার নেই -টাকা আর লবিং থাকলেই জনপ্রতিনিধি হওয়া যায়  -যে দুটি জিনিস থাকলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সময়সীমার কোনোটারই  দরকার নেই সে দুটি জিনিসই দরকার। নতুন
প্রজন্ম যাতে রাজনীতি বিমুখ না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রেখে প্রত্যেক দল কে তৃণমূলকে মূল্যায়ন করে -তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।  তৃণমূলের মূল্যায়নকে অবজ্ঞা করে উজানের নৌকা ভাটিতে দিলে  রাজনীতির উপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে।সেটা  যে কোনো দলই হউক না কেন। সবশেষে , সব প্রার্থীর জন্য শুভ কামনা করছি , যেন সরকারী প্রভাব মুক্ত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেই প্রত্যাশায় ।

লেখক : আরিফ মাহফুজ , সাংবাদিক-কলামিস্ট।

Monday, 21 September 2020

প্রার্থী বনাম প্রতীক : আরিফ মাহফুজ | Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ

প্রার্থী বনাম প্রতীক : আরিফ মাহফুজ | Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ


রাজনীতির শেষ বলতে কোন কথা নেই ।  রাজনীতির মেরুকরণ কখন ঘুরে কোথায়  যায় বুঝা যায় না।এ বছর বৈরি আবহাওয়া ও কোভিড-১৯ করোনা মহামারী সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিভিন্ন সংসদীয় ও উপজেলা পরিষদের শুন্য আসনে উপ নির্বাচন। দেশে রাজনৈতিক পরিবেশও রয়েছে মারাত্মক বৈরী পরিবেশের মধ্যে। সরকারের দমনপীড়ন এর মধ্যে চলছে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড। অবরুদ্ধ দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি র রাজনৈতিক কর্মকান্ড। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়েই উপনির্বাচন এর শুন্য পদ গুলোতে প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি।  লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা। রাজনৈতিক হিসাব নিকাশের বাহিরেও দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করারও মূল উদ্দেশ্য  ।   অত্যন্ত সুচারু ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছে বিএনপি। যোগ্যতার ম্যাপ এবং মাপকাঠিতে মানদন্ড যাচাই করেই প্রতিটি প্রার্থীকে সিলেকশন করেছে দলের হাই কমান্ড। ঘাড়ে চাপিয়ে বা লবিংয়ের মাধ্যমে কোনো আসনের পার্থীকে প্রতীক দেয়া হয়নি। জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের শুন্য আসনে উপনির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনীত প্রাথী হিসেবে জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের  বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুলহক আফিন্দীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। দলীয়ভাবে ধানের শীষ প্রতীক এর প্রার্থীকে  জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। উপজেলার সাধারন নাগরিক হিসেবে এবং ব্যাক্তিগত পছন্দ থেকে জানাই লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। ব্যাক্তি পছন্দ ও দলীয় পছন্দ দুটি আলাদা বিষয়। রাজনীতির মারপ্যাঁচে দলীয় পছন্দের মধ্যে ব্যাক্তিগত পছন্দ -অপছন্দ বিষয়টি নিয়ে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি কাজ করে সবখানে সব দলেই।  যার জন্য দলীয় নির্বাচনে এর প্রভাব বিস্তার হয়ে দলের ক্ষতি হয়। কোনো ব্যাক্তির সাথে কোনো  ব্যাক্তির আন্তরিকতার অভাব থাকতেই পারে -আবার আন্তরিকতায় ভরপুর থাকতে পারে কিন্তু নির্বাচন প্রাক্কালে এই দুইটি বিষয়কে দূরে রেখে দলীয় প্রেমটাকে প্রকটভাবে জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন।  ভুলে যেতে হবে সব পছন্দ-অপছন্দ , মনোমালিণ্য।
সরেজমিনে এবং উপজেলার তৃণমূল বিভিন্ন গ্রামীণ জনপদে  দেখা গেছে নুরল হক আফিন্দীর জনপ্রিয়তা। তিনবারের  ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি তাঁর দক্ষতা প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন।প্রার্থী আপনার এবং প্রতীকও আপনার। দলীয় প্রেমে জাগ্রত হয়ে আগামী ২০শে অক্টোবর  আসন্ন জামালগনগঞ্জ উপজেলা উপনির্বাচনে নরুল হক আফিন্দী-কে ধানের  শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে জাতীয়তাবাদী ঝান্ডা হাতে  -শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সেই ওমর বাণীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সমস্বরে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন -ব্যাক্তির চেয়ে দল বড় , দলের চেয়ে দেশ বড়। প্রার্থী থেকে প্রতীক ,দুটোই আমার দুটোই আমার অহংকার -কারন আমি জিয়ার সৈনিক।
লেখক : আরিফ মাহফুজ ,সাংবাদিক-কলামিস্ট।
            সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য যুক্তরাজ্য বিএনপি।
           সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক,যুক্তরাজ্য জাসাস।
জামালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

জামালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান


সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন পরবর্তী সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমা-ের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কলমদরের সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ের সাবেক ডেপুটি কমা-ার শ্রীকান্ত তালুকদার, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. রইছ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা নিতাই বনিক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মারজানা ইসলাম শিবনা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘বিগত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের কালীপুর গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা সোনাফর আলীর স্ত্রী ও তার ছেলের স্ত্রীর উপর একই ইউনিয়নের লম্বাবাঁক গ্রামের দিলোয়ার হোসেন গংদের চালানো সন্ত্রাসী ও নির্যাতনমূলক কর্মকা-ে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি প্রার্থনা করছি। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে আর কোন অপরাধী এমন অপরাধ কর্ম করতে সাহস পাবে না।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, ‘আমি এখন সুনামগঞ্জ মিটিংয়ে আছি। অফিসে এসে স্মারকলিপি দেখে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

Saturday, 19 September 2020

শেষ ভালো যার, সব ভালো তার: সাজিদুর রহমান সাজিদ |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ

শেষ ভালো যার, সব ভালো তার: সাজিদুর রহমান সাজিদ |Sunamganj Live|সুনামগঞ্জ লাইভ


শেষ ভালো যার, সব ভালো তার
সাজিদুর রহমান সাজিদ
..........
শেষ পর্যন্ত এ চরম মা'জুর অবস্থায়ও দেখা গেল শায়খুল ইসলাম আহমদ শফি রাহ. ঠিক। শায়খুল ইসলাম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানি রাহ.র বাংলাদেশি খলিফাদের মধ্যে নানা কারণে তিনি সর্বাধিক পরিচিত ও আলোচিত। একই সঙ্গে ছিলেন সর্বজন মান্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয়। কী সুন্দর সব দেনা-পাওনা মিটিয়ে, সব ঝগড়া ও সমালোচনার পথ বন্ধ করে চলে গেলেন। কতিপয় পল্টিবাজ রাজনীতিকের বলয়ে ছিলেন। এরা তারে ঘিরে রাখতো সবসময়। এরা ছাড়া অন্য কাউকে যিনি নির্মোহ বাস্তবতা তুলে ধরতে পারেন- তার ধারও ঘেঁষতে দেওয়া হতো না। তাই অনেকেই তার সমালোচনা করেছে। সেই অনেকের মধ্যে বড় একটা অংশ ছিল মসলকে দেওবন্দবিরোধী। তারা দেওবন্দি সেজে বড় নোংরা সমালোচনায় ছিল লিপ্ত। সমালোচকদের ছোট একটা অংশ ছিল দেওবন্দি। তারা অপপ্রচারে ধোঁকা খেয়ে অনেক কিছু না বুঝে সমালোচনা করেছে। তবে সমালোচক দেওবন্দিদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল ইয়াং জেনারেশন।
জান্নাতি মানুষ হয়ে থাকেন সরলসোজা। সবাইকে বিশ্বাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। দুনিয়ার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক নেই। রোগযন্ত্রণা এবং খাতেমা বিল খায়র এর চিন্তায়ই ডুবে থাকতেন সারাক্ষণ। বাইরের জগৎ নিয়ে ভাববার সময়ও ছিল না, শক্তিও ছিল না। এমন অবস্থায় ইন্নি নাসিহুন আমীন হয়ে তাকে পরামর্শ দেওয়া হত, তিনি মানতেন। নিজে ভালো, সবাইকে ভালো মনে করতেন। এই ইন্নি নাসিহুন আমীনরা তাকে কষ্ট দিয়েছে, সমালোচনার পাত্র বানিয়েছে। কেউ কেউ তো তিনি শায়খুল ইসলাম মাদানি রাহ. এর খলিফা কিনা- প্রশ্ন তুলেছে। গোনাহ ওলায়েতর মুনাফি নয়; যেমন খেলাফে আওলা নবুওয়তের মুনাফি নয়। কিন্তু যারা এতসব বেআদবি করল, বদনাম করল, জঘন্য সমালোচনা করল এই ওলীর বিরুদ্ধে- তারা ইতিহাসের আস্তাঁকুড়েই ঠাঁই পাবে। মানুষ তাদের কথা ঘৃণার সাথে স্মরণ করবে। কিন্তু আহমদ শফি রাহ. ইতিহাসের পুরোভাগে উপস্থিত থাকবেন স্বর্ণোজ্জ্বল কান্তি নিয়ে। তাকে মানুষ স্মরণ করবে বিনম্র শ্রদ্ধায়, দোয়ায় ও অকৃত্তিম ভালোবাসায়। তার উত্থান যেমন আলোচিত, তার প্রস্থানও তেমনি প্রশংসিত। শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।

Wednesday, 16 September 2020

এক লাফে পেঁয়াজের সেঞ্চুরি: আলী রেজা |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ

এক লাফে পেঁয়াজের সেঞ্চুরি: আলী রেজা |Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ


আলী রেজা: গত বছর এই সময় কৃতিম সংকট তৈরি করে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও, আমরা দেখেছি শেষের দিকে ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ গুদামে পঁচেছে। তাই আমাদের এখনি ক্রয় অভ্যাস পরিবর্তন করা উচিৎ। অযথা আতংকগ্রস্থ হয়ে একসাথে বেশি পেঁয়াজ কিনে মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত মানুষকে বিপদে ফেলা কোন ভাবেই উচিৎ নহে। আমরা অল্প অল্প করে কিনি এবং পেঁয়াজের ব্যবহার কমাবার চেষ্টা করি। মানুষকে আতংকগ্রস্থ করে ব্যবসায়ীরা হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এটাই ব্যবসায়ীদের কৌশল। ব্যবসায়ীদের এই  চালাকি ঠেকাতে আমরা ক্রেতারা প্রতিজ্ঞা করি, পেঁয়াজ গুদামেই পঁচানোর ব্যবস্থা করব। 
বাজারে বর্তমান বাজার দর ৯০-১০০ টাকা।
যে বা যারা এই পেঁয়াজের বাজার দর বাড়ানোর জন্য পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করছে, তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃৃষ্টি আকর্ষণ করছি । আর আমরা ৩০- ৪০ টাকার পেঁয়াজ ১০০ - ১৫০ টাকায় কিনব না। পেঁয়াজের ব্যবহার কমাব, ব্যয় বাড়াব না। ভারত গতকাল পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কোনক্রমেই ৩২ টাকা কেজির বেশি না। তারপরও দাম লাফিয়ে বাড়ছে। এটার জন্য আমাদের দেশীয় ব্যবসায়ীদের অসভ্য মানসিকতাই দায়ী। সেহেতু বর্ধিত দামে প্রচুর পেঁয়াজ কিনে গরীব মানুষকে বিপদে না ফেলে, আসুন পেঁয়াজের ব্যবহার কমাই। ১৫ দিন এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে, পেঁয়াজের ঝাঁজ আমাদের নয়, বরং অশুভ ব্যবসায়ীদের উপর পড়বে।

Monday, 14 September 2020

করোনায় মারা গেলেন অভিনেতা সাদেক বাচ্চু |Sunamganj Live |সুনামগঞ্জ লাইভ

করোনায় মারা গেলেন অভিনেতা সাদেক বাচ্চু |Sunamganj Live |সুনামগঞ্জ লাইভ


ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সাদেক বাচ্চু মারা গেছেন। রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১২টা ০৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সাদেক বাচ্চুর মৃত্যুর বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান। মৃত্যুকালে সাদেক বাচ্চুর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাদেক বাচ্চুকে। হাসপাতালে ভর্তির পর করোনা পরীক্ষা করালে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) তার করোনা পজিটিভ আসে। তার অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ গুণী অভিনেতা।

ডাকবিভাগের সাবেক কর্মকর্তা সাদেক হোসেন বাচ্চু ১৯৮৫ সাল চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। ‘রামের সুমতি’র মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পর বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ার তার। শুরুতে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করতেন। মতিঝিল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এ দলের সভাপতিও ছিলেন। বেতারে একটা সময়ে অসংখ্য নাটক করেছেন। বেতারের খেলাঘর তার আলোচিত একটি নাটক।
টেলিভিশন নাটকে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৭৪ সালে। নাটকটির নাম ছিল- প্রথম অঙ্গীকার। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন আশির দশকে। সিনেমাটির নাম- রামের সুমতি। পরিচালনা করেন শহিদুল আমিন।
বহুমাত্রিক এ অভিনেতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- জোর করে ভালোবাসা হয় না (২০১৩), জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার (২০১৩), জীবন নদীর তীরে (২০১৩), তোমার মাঝে আমি (২০১৩), ঢাকা টু বোম্বে (২০১৩), ভালোবাসা জিন্দাবাদ (২০১৩), এক জবান (২০১০), আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০), মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), বধূবরণ (২০০৮), ময়দান (২০০৭), আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), প্রিয়জন (১৯৯৬), সুজন সখি (১৯৯৪)। 
১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন গুণী এ অভিনেতা। অভিনয় ছাড়াও দীর্ঘ দিন তিনি বাংলাদেশ ডাক বিভাগে চাকরি করেছেন। ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায় অভিনয় করে খল অভিনেতা হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।