নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জামালগঞ্জ উপজেলা শাখা।
এছাড়াও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন কাজ সম্পন্ন করায় সমিতির সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় উপজেলা ছাত্রলীগ।
ক্যারিয়ারে যত ছবি করেছেন অ’পু বিশ্বা’স, বেশিরভাগ ছবিতেই তার নায়ক শাকিব খান। একসাথে ৭২টি ছবিতে কাজ করেছেন তারা। এত সংখ্যক ছবিতে একসাথে কাজ করার রেকর্ড কোনো দেশের নায়ক-নায়িকার নেই। তাই নিজেদের জুটির নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড লিখতে চান অ’পু বিশ্বা’স। এ জন্য আবেদনও করেবেন ঢালিউড কুইন।
অ’পু বিশ্বা’স বলেন, ‘একসাথে আম’রা ৭২টি ছবিতে জুটি হয়ে কাজ করেছি। এত সংখ্যক ছবিতে কাজ করার রেকর্ড অন্য কোনো দেশে অন্য কোনো নায়ক-নায়িকার নেই। যা শুধুমাত্র আমাদের দখলে। তাই ‘শাকিব-অ’পু’ জুটির নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে রাখতে আমি আবেদন করব।’
শাকিবের বিষয় অ’পু বলেন, ‘আমা’র ক্যারিয়ারের হিট-সুপারহিট ছবিগুলোর নায়ক শাকিব। শাকিব আর আমা’র জুটিটা দর্শকরা বেশ ভালো’ভাবেই গ্রহণ করেছিল। সে কারণেই এখন পর্যন্ত আমাদের এ জুটিটা জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। আর আমাদের ছবির সংখ্যা হিসেব করলে এখনো শীর্ষে রয়েছে শাকিব-অ’পু জুটি।’
প্রসঙ্গত, অ’পু বিশ্বা’স ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘কাল সকালে’ চলচ্চিত্রে অ’ভিনয়ের মাধ্যমে অ’ভিনয় জীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে এফআই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকা হিসাবে অ’ভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে। এরপর অ’পু বিশ্বা’স ৭২টিরও অধিক চলচ্চিত্রে শাকিব খানের বিপরীতে অ’ভিনয় করেছেন।
২০০৮ সালে গো’পনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব-অ’পু। এরপর ২০১৭ সালে বিচ্ছেদের আগ পর্যন্ত শাকিব ছাড়া কোনো ছবিই করেননি অ’পু। মাঝে চিত্রনায়ক মান্নার বিপরীতে তিনটি ছবিতে কাজ করেছিলেন অ’পু। শাকিব-অ’পুর ঘরে আব্রাহাম খান জয় নামে একমাত্র ছে’লে সন্তান রয়েছে।
এদিকে অ’পু বিশ্বা’স অ’ভিনীত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ নামে একটি ছবি মুক্তির অ’পেক্ষায় আছে। এতে অ’পুর বিপরীতে অ’ভিনয় করেছেন বাপ্পী চৌধুরী।
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের বর্বরতায় পঙ্গু হয়েছেন দিনমজুর। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নে। রইছপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র আহত সমশের আলী বাদি হয়ে গত ১৭ আগস্ট সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দোয়ারাবাজার থানাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। জানা যায়, গত ১ আগস্ট ঈদের দিন রাতে গাজীনগর গ্রামের মসজিদের ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় সমসের আলী (৩০) নামের এক যুবককে ২ থেকে আড়াই শ’ বেত্রাঘাত করেন পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ। মারধরের এক পর্যায়ে সমসের আলীর বাম হাতের কবজি ভেঙ্গে যায়। এরপর চেয়ারম্যান সমসের আলী কে বেঁধে নিয়ে আসেন বাসায় (ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে)। চলে আবারও বেত্রাঘাত। সারারাত আটকে রাখা বাথরুমের ভেতরে। পরের দিন সকালে সমসের আলী কে ছেড়ে দেন চেয়ারম্যান। পরিবারের লোকজন সমসের আলীকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনদিন পর তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।সিলেট :আমবাড়ী বাজার এলাকায় এলজিইডি সড়কের ধসে যাওয়া অংশ : সুনামগঞ্জ লাইভ |
সিলেটে তিন দফা বন্যায় এবার গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে সড়কের চিহ্ন মুছে গেছে। স্থানে স্থানে গর্তে ভরা সড়ক। বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটের ভাঙনের দাগ স্পষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট দুই জেলায় ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। বিভিন্ন পাকা, আধাপাকা ও ব্রিক সলিং সড়ক, সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেসে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আগে বন্যা হলে বাধাহীনভাবে পানি ভাটির দিকে নেমে যেত। প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা হারিয়ে যাওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও বেশি। তারা বলেন, বন্যার ভয়াবহতা ও পানি নিষ্কাশনের সহজ পথের কথা না ভেবেই রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট তৈরি করা হয়। ফলে নির্মিত অবকাঠামোর ক্ষতি বাড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেটে এলজিইডির আওতাধীন ৭ হাজার ৫১০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৫২১ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়। এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ জানান, সিলেট জেলায় মোট ৫২১ কিলোমিটার সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২৬০ কোটি টাকা।
সুনামগঞ্জ জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, গ্রামীণ রাস্তাঘাট যে হারে ভেঙেছে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়ক বিভিন্ন স্থানে ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ জেলার ২২টি সড়কে ৬০০ কিলোমিটার সড়ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ৪০টি ব্রিজ-কালভার্ট, ৩০টি ভিলেজ প্রটেকশন কাজ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সিলেটস্থ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী হোসেন চৌধুরী সোমবার ইত্তেফাককে বলেন, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সুনামগঞ্জ ও সিলেটের রাস্তাঘাট আপাতত চালুর বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে কথা হয়েছে। এ পর্যায়ে ২০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। তিনি বলেন, মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জের জন্য আলাদা প্রজেক্ট করতে বলা হয়েছে। আমরা সেই চেষ্টা করছি। সুুনামগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ কোটি ও সিলেট জেলায় ২৬০ কোটি টাকার ক্ষতি বলে প্রাথমিক ধারণা করা হয়।
সড়ক সংস্কারের দাবিতে সিলেট চেম্বারের চিঠি
এদিকে, সিলেট-বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক সংস্কারের দাবিতে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে সিলেট চেম্বার পত্র প্রেরণ করেছে। চেম্বার সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব লিখেছেন, সড়কটির বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর অংশের প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে যানচলাচলের অনুপযোগী।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
সবার একই প্রশ্ন এইরকম লিয়াজো করে, সরকার পক্ষের সাথে সম্পর্ক ঠিক রেখে কিভাবে জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এর অভিভাবক হিসেবে নিজেকে দাবি করেন।
সবাই দাবি করেছেন - এইরকম নেতাকে বিএনপি থেকে বয়কট করা হউক।
মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, জামালগঞ্জ ::
কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে জামালগঞ্জ উপজেলার মৃৎশিল্প। বিভিন্ন সমস্যার কারণে আজ সঙ্কটের মুখে এই শিল্প। সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রায় শত বছরের ঐতিহ্য বহন করা বেহেলী ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করায় মেলামাইন ও প্লাস্টিকের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি মৃৎশিল্পীদের সাংসারিক বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার্য বস্তু।
বিজ্ঞানের জয়যাত্রা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নে নতুন নতুন শিল্প সামগ্রীর প্রসারের কারণে বাজার অনুকূলে না থাকায় এই শিল্প আজ হুমকির মুখে। একদিকে উন্নত প্রযুক্তি, মেলামাইন সামগ্রীর সাথে প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে করোনার লগডাউনের কারণে বাংলা নববর্ষের মেলা, পণতীর্থ মেলা না হওয়ায় বিক্রি করতে পারেননি তাদের তৈরি খেলনা ও তৈজসপত্র। তাই প্রতিটি ঘরে ঘরে কার্টুন ভর্তি করে রেখে দেওয়া হয়েছে তাদের কষ্টার্জিত তৈরি আসবাবপত্র।
উপজেলার বদরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এই গ্রামের অধিকাংশ লোকই পাল সম্প্রদায়ের। একসময় এই গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত ছিল। আধুনিকতার ছুঁয়া ও কালের পরিক্রমায় এখন মাত্র শতাধিক পরিবার তাদের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পেশা অনেক কষ্টের মাঝেও ধরে রেখেছেন। বর্তমানে তাদের অবস্থা খুবই নাজুক।
বদরপুর গ্রামের মৃৎশিল্পী পুষ্প রাণী পাল, আরতি রানী পাল, সবিতা রানী পাল, অনামিকা পাল, অখিল চন্দ্র পাল, আশা রানী পাল, জিতেন্দ্র চন্দ্র পাল, সঞ্চিতা রানী পাল জানিয়েছেন, একসময় মাটির তৈরি হাড়িপাতিল, কলসি, রঙিন ফুলদানি, ফুলের টব, হাতি-ঘোড়া, নানা রঙের পুতুল ও বিভিন্ন সামগ্রী আমরা প্রতিটি বাড়িতে তৈরি করতাম। আর পুরুষরা বিভিন্ন হাটবাজার, মেলা ও বিভিন্ন পূজায় তা বিক্রি করতেন। তাতে আমরা অনেক লাভবান হতাম। তখন সংসারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হতো। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক মেলামাইন ও অ্যালুমিনিয়ামের চাপে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। তার ওপর মড়ার ওপর খারার ঘা হিসেবে করোনার লকডাউনে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের আয় নেই বললেই চলে। নিদারুণ কষ্টে চলছে দিনকাল। এই পরিস্থিতিতে পাল সম্প্রদায় পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই গ্রামের মৃৎশিল্পী পুষ্প রানী পাল বলেন, এই পেশায় নেই কোনো সরকারি সহায়তা। ব্যাংক ঋণ বা অন্য কোনো সহযোগিতা। তাই বাধ্য হয়েই ঘুটিয়ে নিতে হচ্ছে আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যবা পেশা। গ্রামের অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
মৃৎশিল্পী জিতেন্দ্র চন্দ্র পাল বলেন, বর্তমানে মাটির দাম, লাকড়ি, রঙ ও আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় তৈরিতে খরচ অনেকটা বেড়ে গেছে। আমরা এখন এই পেশা ধরে রাখতে পারব কি না সংশয়ে আছি।
তিনি আরও জানান, বিসিক ব্যাংক বা অন্যকোনো সংস্থা যদি স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে সহযোগিতায় এগিয়ে আসত তাহলে বাপদাদার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প ধরে রাখা সম্ভব। নতুবা আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাবে আমাদের এই পেশা।