Monday, 31 August 2020

বণিক সমিতির নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন

বণিক সমিতির নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন


জাতির শ্রেষ্ট সন্তান, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সাচনা বাজার বণিক সমিতির আমৃত্যু সভাপতি সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ’র প্রয়াণে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে গতকাল সাচনা বাজার দলীয় কার্যালয়ে বণিক সমিতির স্টেয়ারিং কমিটির এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সমিতির সর্ব সম্মতিক্রমে বাবু চিত্ত রঞ্জন পাল কে সভাপতি ও বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক,উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা,সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন’র আস্থাভাজন আসাদ আল আজাদ কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জামালগঞ্জ উপজেলা শাখা।
এছাড়াও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন কাজ সম্পন্ন করায় সমিতির সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় উপজেলা ছাত্রলীগ।

Saturday, 29 August 2020

ঘুরে আসুন বাঁশতলা : Sunamganj Live

ঘুরে আসুন বাঁশতলা : Sunamganj Live

পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝর্ণার মন জুড়িয়ে যাওয়া রূপ নিয়ে আজকের লেখা। তিনদিকে মেঘালয় পাহাড়, আর তার সামনে টিলার ওপর চোখ জুড়ানো স্মৃতিসৌধ। একবার দেখলে বার বার দেখার ইচ্ছা হয়; মন চায় সারাক্ষণ সেখানেই বসে থাকি আর তার সৌন্দর্য উপভোগ করি। বলছিলাম সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের স্মৃতিসৌধ এর কথা। তিন দিকে মেঘালয় পর্বতমালা ঘিরে থাকা বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ১৪ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধির পাশে। তার সাথে সেখানে দর্শনীয় স্থান হিসেবে আছে চেলাই খালের ওপর স্লুইসগেট আর টিলার ওপর জুমগাঁও।

ডাউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ নম্বর সেক্টর। সে সেক্টরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী। সেই পাঁচ নম্বর সেক্টরের সাবসেক্টর ছিল সুনামগঞ্জ জেলার বাঁশতলা। এখানকার সাবসেক্টর কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন হেলাল উদ্দিন। পাহাড়বেষ্টিত বাঁশতলা এলাকায় এবং তার আশপাশে সংঘটিত যুদ্ধে যাঁরা শহীদ হন, তাঁদের সমাহিত করা হয় বাঁশতলার এই নির্জনে। তাঁদের বীরত্বের সেই স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্যই বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। এখানে পথের দু’পাশের সৌন্দর্য অসাধারণ; তার সঙ্গে আছে নানান জানা-অজানা পাখির ডাক। স্মৃতিসৌধে পৌঁছানোর আগেই মুগ্ধ হতে হয় এখানকার স্লুইসগেটে এসে। চেলাই খালের ওপর নির্মিত স্লুইসগেটটি দেখার পর পা যেন আর আগে বাড়তে চায় না। মন চাইবে সেখানটাতেই অনেকক্ষণ থেকে উপভোগ করতে সেই সৌন্দর্য। স্মৃতিসৌধের কাছাকাছি পৌঁছালে মনে হবে ঝকঝকে নীল আকাশে রক্তিম সূর্য উঠছে। আর যেন হাত বাড়ানো দূরত্বে আছে ঘনসবুজ পাহাড়।

স্মৃতিসৌধ দেখার পরে ফিরে আসার পথে যদি সেই মনজুড়ানো স্লুইসগেট। যা ১ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০৫ সালে এটি নির্মিত হয়। যদিও নদী শাসন প্রকৃতি বিরোধী তবুও বয়ে চলা পাহাড়ি ঝর্ণার মাঝে এ স্লুইসগেট আলাদা সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। এখানে ঠান্ডা ও শীতল স্বচ্ছ পানিতে সাঁতার কেঁটে চাইলে সহজেই শরীরের ক্লান্তি দূর করতে পারবেন। তার পরে চলে যেতে পারেন টিলার উপরের পাহাড়ি গ্রাম জুমগাও-এ। সেখানে প্রায় ৩৬ টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। তারা নিজেদের ব্যবহার্য যাবতীয় আসবাবপত্র নিজ হাতেই তৈরী করে থাকে; চেষ্টা করে স্বাবলম্বী থাকার। তাদের সেই টিলার উপরেই রয়েছে একটি মিশনারী স্কুল ও একটি উপাসনালয়। সবমিলিয়ে টিলার উপর সেই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর আর সে পরিবেশ দেখার মতো আরেকটি জায়গা যা কিনা যেকোন মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিতে পারে।

বাঁশতলা স্মৃতিসৌধে যাবার রাস্তা:
ঢাকা থেকে বাঁশতলায় যেতে হলে আপনাকে প্রথমে সুনামগঞ্জ আসতে হবে। সায়দাবাদ বা ফকিরাপুল বাসস্ট্যান্ড থেকে দিনরাত ঢাকা-সিলেট-সুনামগঞ্জ­ রুটের বাস চলাচল করে। সুবিধামতো সময়ে হানিফ, মামুন কিংবা শ্যামলী পরিবহনের বাসে চেপে বসলেই হবে। সে বাস আপনাকে সরাসরি নিয়ে আসবে সুনামগঞ্জ সদরে। সেখান থেকে বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ যেতে হলে আপনি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলা হয়েও বাঁশতলা যেতে পারেন, আবার ছাতক উপজেলা ঘুরেও বাঁশতলা যাবার রাস্তা রয়েছে। ছাতক বাজার থেকে সুরমা নদী পার হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চেপে সরাসরি বাঁশতলায় যাওয়া যায়। তবে আমার মতে ভ্রমনপীপাসু লোকদের ছাতক ঘুরে যাওয়াটাই ভালো। এতে করে যাবার পথে দর্শনীয় ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিও ঘুরে আসার মতন বোনাস পেয়ে যেতে পারেন।


Friday, 28 August 2020

তাহিরপুরে পর্যটন কেন্দ্রের লক্ষাধিক টাকার গাছ জব্দ : Sunamganj Live | সুনামগঞ্জ লাইভ

তাহিরপুরে পর্যটন কেন্দ্রের লক্ষাধিক টাকার গাছ জব্দ : Sunamganj Live | সুনামগঞ্জ লাইভ


সুনামগঞ্জের পর্যটন নগরী তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহনকৃত সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গা হতে কেটে নেয়া বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছ টেকেরঘাটে এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী টেকেরঘাট ও লাকমা এলাকায় থাকা একটি অবৈধ করাত কল হতে এসব গাছ জব্দ করা হয়।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ’র নির্দেশে সহকারি কমিশনার (ভুমি) সৈয়দ আমজাদ হোসেন এসব গাছ জব্দ করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, টেকেরঘাট এলাকায় থাকা সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা হতে অর্জুন, কাঠাল, কদম সহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান কয়েকটি গাছ গোপনে কেঁটে রাতের আঁধারে সরিয়ে নিয়ে যায় একদল দুবৃক্ত।
বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনওর নির্দেশে সহকারি কমিশনার (ভুমি) সরজমিনে গিয়ে ছোট বড় ২১ পিস গাছের টুকরো গাছ জব্দ করেন। এসময় টেকেরঘাটের সরকারি খাঁস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় থাকা সাইফুলের বাড়ি, সুভাসের বাড়ি, অনিলের বাড়ি ও পার্শ্ববর্তী লাকমা সীমান্তে থাকা একটি অবৈধ করাত কল হতে এসব কেটে নেয়া গাছের টুকরো জব্দ করা হয়।
কিছুদিন আগে টেকেরঘাটে থাকা মৃত রফিকের ছেলে জাহাঙ্গীর সরকারি জায়গা হতে অর্ধলক্ষ টাকা মুল্যের জাম গাছ রাতের আধের কেটে নিয়ে বাড়ির আসবাবপত্র তৈরী করায় এবং গাছের ঢালপালা জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করে।
তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ জানান, মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন লক্ষাধিক গাছের চারা রোপনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেক্ষেত্রে টেকেরঘাটে সরকারি জায়গা হতে গোপনে বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ কেটে নেয়ার দৃষ্টতা আমাদেরকে চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে দূত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
জামালগঞ্জের মৌলীনগরবাসীর দুঃখ দেখার যেন কেউ নেই: Sunamganj Live | সুনামগঞ্জ লাইভ

জামালগঞ্জের মৌলীনগরবাসীর দুঃখ দেখার যেন কেউ নেই: Sunamganj Live | সুনামগঞ্জ লাইভ





আবুল কালাম জাকারিয়া:
সুনামগঞ্জ লাইভ : সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালীর মৌলীনগরবাসীর দুঃখ দেখার যেন কেউ নেই!! অতিত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বারবার জন প্রতিনিধিদের কাছে আবেদন নিবেদন করে ও ছয় মাস নাও (নৌকা) আর ছয় মাস পাও-ই  (পা) তাদের ভাগ্যে!!!

উক্ত গ্রামের সদর রাস্তায় প্রায়ই তাদের নির্মাণ করতে হয় বাঁশের সাঁকো। যাতে প্রতি বছর খরচ করতে হচ্ছে অনেক টাকা। সুনামগঞ্জের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ এই রাস্তাটি মাটি ভরাট সহ পাকা করে অত্র এলাকার ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  জননেত্রী  শেখ হাসিনার উন্নয়নের  কাজের ধারা  অব্যাহত  রেখে বিশাল উপকার করবেন। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন স্বেচ্ছাশ্রমে আজ আবার চলছে সাঁকো নির্মাণের কাজ।

Thursday, 27 August 2020

জামালগঞ্জে প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্টিত :Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ

জামালগঞ্জে প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্টিত :Sunamganj Live| সুনামগঞ্জ লাইভ


জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্টিত হয়। জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অঞ্জনপুরকায়স্ত্র এর সভাপতিত্বতে সাধারন সম্পাদক আকবর হোসেনর সঞ্চালনায় প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক  কার্যক্রম গতিশীল করা, নতুন সদস্য সংগ্রহ সহ প্রেসক্লাবের যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা ও মতবিনয় করা হয়। প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করেন সবাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির প্রথম সদস্য ওয়ালিউল্লাহ সরকার, সহ সভাপতি শেরে আলম শেরু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, নিজাম নুর, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দিল আহমদ, কোষাদক্ষ আবুল কালাম জাকারিয়া, সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এসময় নতুন সদস্য বিশ্বজিৎ রায় ও বায়জিদ বীন ওয়াহিদ উপস্থিতে তাদের পূর্ব আবেদনের আলোকে যাচাই বাচাই পূর্বক সাধারন সদস্য হিসেবে চুড়ান্ত ভাবে মনোনয়ন করা হয়।
সুনামগঞ্জ সহ দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোট ডিসেম্বরে (তালিকাসহ)

সুনামগঞ্জ সহ দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোট ডিসেম্বরে (তালিকাসহ)


সুনামগঞ্জ লাইভ ডেস্ক : আগামী ডিসেম্বরে পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ওই সময়ে ভোট করার প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে। প্রায় আড়াইশ’র মতো পৌরসভায় ভোট হতে পারে। এই লক্ষ্যে ইসি সচিবালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। রোববার (২৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ওই সভায় পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত না হলেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং পৌরসভাগুলোর নির্বাচনের সময় হওয়ায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত ১০ আগস্টের কমিশন সভায়ও একই ধরনের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পৌরসভাগুলোর বর্তমান পরিষদের মেয়াদ, নির্বাচন আয়োজনে কোনও জটিলতা আছে কিনা এসব সার্বিক তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি সচিবালয়। দুয়েকদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে। পাশাপাশি নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কমিশন মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে পৌরসভাগুলোর মেয়াদসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে তিনশ’ পৌরসভা রয়েছে। এদের মধ্যে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অন্যান্য পৌরসভাগুলোর ভোট মেয়াদ অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর যে পৌরসভাগুলোর ভোট হয়েছিল, তার বেশিরভাগের মেয়র ও কাউন্সিলররা পরের বছর (২০১৬ সাল) জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি মাসে শপথ নেন। আর ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই হিসেবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর ২৩৪টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ করা হয়। এবারও ওই তালিকা ধরে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে ইসি সচিবালয়। ইতোমধ্যে পৌরসভার বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, প্রথম সভার তারিখ ও জনপ্রতিনিধিদের শপথগ্রহণের তারিখ সংগ্রহ করে কমিশনে পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন জেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলা থেকে ইসি সচিবালয় এই তথ্য সংগ্রহ করেছে।
ডিসেম্বরে যে ২৩৪ পৌরসভায় ভোট
আগামী ডিসেম্বরে যেসব পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো হলো, রাজশাহী জেলার কাঁকনহাট, আড়ানী, মুন্ডুমালা, কেশরহাট, গোদাগাড়ী, তাহেরপুর, ভবানীগঞ্জ, তানোর, কাটাখালী, চারঘাট, দুর্গাপুর, পুঠিয়া, নওহাটা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, রহনপুর, শিবগঞ্জ, নাচোল, জয়পুরহাট সদর, আক্কেলপুর, কালাই, নওগাঁ সদর, নজিপুর, নাটোর সদর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম, নলডাঙ্গা, গোপালপুর, গুরুদাসপুর, পাবনা সদর, ভাঙ্গুড়া, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, সাঁথিয়া, সুজানগর, ফরিদপুর, বগুড়া সদর, শেরপুর, সারিয়াকন্দি, গাবতলী, সান্তাহার, কাহালু, ধুনট, নন্দীগ্রাম, শিবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ সদর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, বেলকুচি ও কাজিপুর পৌরসভা।
টাঙ্গাইল সদর, ধনবাড়ী, মধুপুর, মির্জাপুর, ভুঞাপুর, সখিপুর, গোপালপুর, কালীহাতি, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, শেরপুর সদর, নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, ত্রিশাল, ভালুকা, গফরগাঁও, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া, নেত্রকোনা সদর, মদন, মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুর, কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জ সদর, কুলিয়ারচর, হোসেনপুর, কটিয়াদী, বাজিতপুর, ভৈরব, করিমগঞ্জ, মানিকগঞ্জ সদর, সিংগাইর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মিরকাদিম, ঢাকার ধামরাই, সাভার, নরসিংদী সদর, মাধবদী, মনোহরদী, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, তারাবো, রাজবাড়ী সদর, পাংশা, গোয়ালন্দ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, নগরকান্দা, গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গীপাড়া, মাদারীপুর সদর, কালকিনি, শিবচর, শরীয়তপুর সদর, নড়িয়া, ডামুড্যা, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ পৌরসভা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, কুমিল্লার চান্দিনা, লাকসাম, দাউদকান্দি, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম, হোমনা, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ছেংগারচর, ফরিদগঞ্জ, কচুয়া, মতলব, ফেনী সদর, দাগনভুইঞা, পরশুরাম, নোয়াখালীর বসুরহাট, চৌমুহনী, হাতিয়া, চাটখিল, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ, রামগতি, রায়পুর, চট্টগ্রামের সন্দীপ, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, মীরসরাই, বারাইয়ারহাট, পটিয়া, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ডু, খাগড়াছড়ি সদর, মাটিরাঙা, রাঙামাটি সদর, বান্দরবান সদর ও লামা পৌরসভা।
মেহেরপুরের গাংনী, কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর, ভেড়ামারা, কুমারখালী, খোকসা, খুলনার পাইকগাছা, দাকোপের চালনা, চুয়াডাংগা সদর, দর্শনা, জীবননগর, আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, হরিণাকুণ্ডু, শৈলকূপা, যশোর সদর, নওয়াপাড়া, মনিরামপুর, বাঘারপাড়া, চৌগাছা, কেশবপুর, নড়াইল সদর, কালিয়া, বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ, মাগুরা সদর, সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া পৌরসভা।
ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুর সদর, স্বরূপকাঠি, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা, বরগুনা সদর, বেতাগী, পাথরঘাটা, বরিশালের মুলাদী, গৌরনদী, মেহেন্দীগঞ্জ, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জ, উজিরপুর, ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান।
সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, জগন্নাথপুর, দিরাই, সিলেটের জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, মৌলভীবাজার সদর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, বড়লেখা, হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট, মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা।
কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, উলিপুর, গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জ, পঞ্চগড় সদর, ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল, দিনাজপুর সদর, ফুলবাড়ী, বীরগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর, জলঢাকা, পঞ্চগড় সদর, রংপুরের বদরগঞ্জ, লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম পৌরসভা।
সুনামগ‌ঞ্জে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় করায় ভ্রাম্যমান আদাল‌তের অ‌ভিযান

সুনামগ‌ঞ্জে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় করায় ভ্রাম্যমান আদাল‌তের অ‌ভিযান


সরকার নির্দেশিত ভাড়ার অধিক ভাড়া আদায় এবং স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণপূর্বক যাত্রী পরিবহন না করায় সুনামগঞ্জ শহ‌রের দূরপাল্লার বাস কাউন্টা‌রে অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার রা‌তে শহ‌রের পুরাতন বাস‌স্টেশ‌নের শ্যামলী পরিবহনসহ বেশ ক‌য়েক‌টি দূরপাল্লার বাস‌কে জরিমানা করা হয়।
‌জেলা প্রশাসন সূ‌ত্রে জানা যায়, রা‌তে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত অ‌ভিযান চালায়। এসময় সরকার নির্দেশিত ভাড়ার অধিক ভাড়া আদায় এবং স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণপূর্বক যাত্রী পরিবহন না করায় ভ্রাম্যমান দূরপাল্লার ক‌য়েক‌টি বাস‌কে আদালত ৫টি মামলায় ৩০,০০০/- টাকা জরিমানা করেন । মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত। 
‌জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ জানান, জনস্বার্থে এধরণের মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে। সকলকে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ, মাস্ক পরিধান এবং সরকার নির্দেশিত নির্দেশনা প্রতিপালন করার জন্য অনুরোধ করা হ‌য়ে‌ছে।

Wednesday, 26 August 2020

আমি মুখ খুললে সে মুখ দেখাতে পারবে না: পপি

আমি মুখ খুললে সে মুখ দেখাতে পারবে না: পপি


চিত্রনায়িকা পপি বর্তমানে গ্রামের বাড়ি খুলনায় অবস্থান করছেন। আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। এদিকে চলচ্চিত্রের প্রাণকেন্দ্র এফডিসি উত্তাল রয়েছে মিশা-জায়েদ বয়কট নিয়ে। নিজের শারীরিক অবস্থা ও এফডিসির উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ে খুলনা থেকে  কথা বলেছেন পপি
এখন শরীরিক অবস্থা কেমন আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো। গত সপ্তাহে করোনা টেস্টে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তবুও বাসা থেকে বের হচ্ছি না। করোনা সেরে গেলেও আতঙ্ক কাটছে না।
করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। ঢাকায় ফিরছেন কবে? ঢাকায় শিগগির ফেরা হচ্ছে না। কারণ, ঢাকার অবস্থা এখনও খুব একটা ভালো নয়। মানুষ ঘর থেকে বের হলেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তো কমছে না। আমার আত্মীয়-স্বজন যারা ঢাকায় আছেন, তাদের অনেকের আক্রান্তের খবর পাচ্ছি। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে ঢাকায় ফিরি?
এফডিসিতে যা হচ্ছে খবর রাখছেন তো? গ্রামে থাকলেও সব খবরই রাখছি। এফডিসি আমার আরেক পরিবার। পরিবারের খবর তো রাখতেই হবে। সেখানে একটা ক্রাইসিস চলছে। শিগগিরই এ ক্রাইসিস চলে যাবে। আমরা আবার সবাই একসঙ্গে কাজ করব। আমাদের শুটিংয়ে মুখর হয়ে উঠবে এফডিসি।
ক্রাইসিস বলতে আপনি কী বোঝালেন? এফডিসিতে কী হচ্ছে এটা তো গণমাধ্যমের বরাতে দেশের সবাই জানতে পারছেন। এখানে ক্রাইসিস কী নিয়ে এটাও সবার জানা। তবে আমি মনে করি, এখানে সবচেয়ে বড় ক্রাইসিস হচ্ছে সম্পর্কের। আগে কত সুন্দর দিন কাটাচ্ছিলাম আমরা। মান্না ভাই, ওমর সানী ভাই, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিব খান, মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমা, সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইন্ডাস্ট্রিকে লিড দিয়েছেন।
তখন আমাদের মধ্যে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা থাকলেও কারও সঙ্গে কোনো রেষারেষি ছিল না। কেউ কারও পেছনে লাগেনি। কারও আড়ালে কারও বদনাম হতো না। সেই গোছানো সম্পর্কগুলো নষ্ট করে দিলো জায়েদ। সে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসার পরই শুরু হলো একে অপরে দ্বন্দ্ব। অযোগ্য লোককে চেয়ারে বসালে যা হয়। এর-ওর মধ্যে বিরুদ্ধে লাগিয়ে সবাইকে ব্যস্ত বানিয়ে নিজে চেয়ারের জায়গাটা শক্ত করে নিতে চাচ্ছিলো সে। কিন্তু অযোগ্য লোক বেশিদিন থাকতে পারে না। তার পতন হবেই।
একে অপরে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণ শুধুই কি জায়েদ, আপনাদের কোনো ভুল নেই? এর আগে এক ইন্টারভিউতে কেন আমরা জায়েদকে চেয়ারে বসিয়েছি সেটা বলেছি। সেটা অনেকটা শাকিব খানের ওপর অভিমান করেই। এটাই আমাদের ভুল ছিল। এই ভুলের খেসরাত যে এভাবে দিতে হবে বুঝিনি। সমিতির নেতার চেয়ারে বসে সে যে ক্রাইমগুলো করেছে তা বর্ণনাতীত। সে ক্রাইমের অনেক কিছুই আপনারা জানেন না। সেগুলো বলার মতোও না। তাই বলি, আমি যদি জায়েদের বিষয়ে মুখ খুলি তাহলে সে মুখ দেখাতে পারবে না। শুধু বলবো, যার একটাও হিট ছবি নেই, অভিনেতা হিসেব দর্শকরা যাকে চিনেই না, সেই কিনা রিয়াজ, ফেরদৌস ভাইকে নিয়ে কটু কথা বলে। তাদের নিয়ে সমালোচনা করে। ওমর সানী ভাইকে সে মানসিক ডাক্তার দেখাতে বলে।
এখন ভুল শোধরাবেন কীভাবে? জায়েদ খানের পদত্যাগ নিয়ে সবাই সোচ্চার হয়েছেন। ভুল শুধরানোর এটাই একমাত্র উপায়। চলচ্চিত্রবিষয়ক ১৯ সংগঠন একত্র হয়ে জায়েদকে বয়কট করেছে। জায়েদের পদত্যাগটা আগে দরকার। শিল্পী সমিতির ক্ষমতা থেকে ওকে অপসারণ না করলে সে এমন কর্মকাণ্ড করেই যাবে। এফডিসি আরও নোংরা হবে। সাধারণ মানুষের কাছে তারকারা হাসির পাত্র হবে। তাই আমাদের সবার করণীয় এখন জায়েদের আগে পদত্যাগ করানো। এরপর একসঙ্গে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়া….সূত্র-সমকাল
জামালগঞ্জের পল্লীতে শ্মশানঘাটের বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ

জামালগঞ্জের পল্লীতে শ্মশানঘাটের বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ


সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় মাতারগাঁও গ্রামের শ্মশানঘাট উন্নয়নের নামে সরকারি বরাদ্দ উত্তোলন করে আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে বলে ওই গ্রামের লোকজন গত ২৫ আগস্ট ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, সরকারেরর গ্রাম উন্নয়ন অবকাঠামো (কাবিখা-খাদ্য শস্য) উন্নয়ন খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে উল্লেখিত গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ব্যবহার্য একমাত্র শ্মশানঘাট উন্নয়নের জন্য একটি পিআইসির অনুকূলে ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ সম্পন্ন করার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও কথিত গোপন পিআইসি কমিটি কোন কাজ করেনি।
বিষয়টি গ্রামবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন গ্রামের কবিন্দ্র তালুকদার সভাপতি ও প্রসিত তালুকদারকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি পিআইসি কমিটি দেখানো হয়েছে। পিআইসির ওপর ৩ সদস্য হলেন পিযুষ তালুকদার, কিরন তালুকদার ও বিজিত তালুকদার। যা গ্রামের কেউ অবগত নয়। গ্রামের কাউকে না জানিয়ে গোপনে প্রকল্প কমিটি করে বরাদ্দ উত্তোলন ও মেয়াদান্তে কোন কাজ না করেই উত্তোলনকৃত বরাদ্দের সমুদয় টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করায় এতে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গ্রামবাসী সরকারের বরাদ্দের ব্যাপারে কথিত সভাপতি ও সদস্য সচিবের কাছে জানতে চাইলে তাতে তারা কোন তথ্য না দিয়ে বলেন, আমাদের চাল আমরা উত্তোলন করেছি, তোমাদের জানাতে হবে কেন? সরকার থেকে মাল এনেছি সরকারকে জানাব। এতে করে সরকারি বরাদ্দের লুকোচুরি গ্রামের উত্তেজনা বিরাজ করছে। শ্মশানঘাট বরাদ্দের লুকোচুরি নিয়ে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীর পক্ষে বিপুল তালুকদার, পিন্টু তালুকদার, দেবন তালুকদার।
কথিত কমিটির সদস্য পিযুষ তালুকদার বলেন, কমিটি করার সময় একটা দস্তখত নিছিলো। এরপর আর আমি কোন দস্তখত দেই নাই। কিভাবে মাল তুলছে, কোথায় বিক্রি করছে, আমি কিছুই জানি না। কাজ হয়েছি কি না তাও জানি না। কবিন্দ্র কি করছে সেই জানে।
সভাপতি কবিন্দ্র তালুকদার বলেন, বন্যার কারণে মাল নেই নাই। এখন মিস্ত্রি বাও করছি। মিস্ত্রি বলছে দিন ধরলে কাজ করব। মালামাল পুথার মধ্যে রেডি আছে। প্রতিহিংসার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কাজ শেষ করে অফিসে মাস্টার রুল দিব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, অভিযোগটি এখনও আমার হাতে এসে পৌঁছেনি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Monday, 24 August 2020

তাহিরপুরে মদ খাইয়ে শরীফ কে দিয়ে টিকটক ভিডিও : মামলা দায়ের, আটক ৮

তাহিরপুরে মদ খাইয়ে শরীফ কে দিয়ে টিকটক ভিডিও : মামলা দায়ের, আটক ৮


বিশেষ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাণ্যিজিক কেন্দ্র বাদাঘাটে মদ খাইয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোর (দেখতে শিশুদের মতো) শরিফকে নিয়ে টিকটকসহ বিভিন্ন ধরণের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ঘটনায় ৮জনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় রোববার রাতে শরিফের বড়ভাই শামীম বাদী হয়ে আটক ৮জনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও আইসিটি আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃতরা হলো- উপজেলার ৫নং বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শেখ আ. রহমানের ছেলে আলম শেখ (২৩), আনোয়ার হাসেন রুমানের ছেলে তারেক (২২), নাজিম উদ্দিনের ছেলে দীপু (২২), বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি (১৭), বাদাঘাট গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ্ (১৬), ৪নং বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মৃত আ. গফুরের ছেলে মোজাম্মেল হক (২২), হাবিবুর রহমান সংগ্রামের ছেলে সাগর (২১), দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের পাগলপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে মনির মিয়া (১৯)।
রোববার রাতে আটককৃতদের এবং ভিকটিম শরিফকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে আটককৃতদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় ভিকটিম শরিফের বড়ভাই শামীমের দায়ের করা মামলায় আটককৃতদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জুলাইয়ের শেষের দিকে উপজেলার বাণ্যিজিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের সততা স্টোরের মোজাম্মেল হকের ফেসবুক আইডি থেকে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে কিশোর শরিফের ছবি ও একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। ওই ভিডিওতে শরিফ জানায় বাদাঘাটের কয়েক যুবক তাকে জোর পূর্বক মদ খাইয়ে বিভিন্ন রকমের টিকটক ভিডিও তৈরি করে তা ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে।
বিষয়টি সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএমের নজরে আসলে উনার দিকনির্দেশনায় তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান ও বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান বিষয়টি গোপনে তদন্ত শুরু করেন। শারিরিক প্রতিবন্ধী কিশোর শরিফকে দিয়ে দিয়ে এমন আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় জেলাসদরসহ গোটা উপজেলায় বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
রোববার দুপুরে শরিফের দেওয়া তথ‌্য অনুযায়ী ভিডিও ভাইরালের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
শরিফ মিয়া (১৩) উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের ঢালারপাড় (লাউড়েরগড়) গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ৯ ভাই বোনের মধ্যে শরিফ ৭ম।
শরিফের মা জানিয়েছেন, জন্মের সময়ই শরিফ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা ছোট ছিল। স্থানীয় ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়ে অনেক টাকা পয়সা খরচ করেও শরিফকে স্বাভাবিক করা যায়নি। ছোটবেলা থেকেই সে বাড়ির বাইরে থাকে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাড়ি নেয়া যায় না।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, ভিকটিমের বড় ভাই শামীম বাদী হয়ে আটককৃত ৮জনসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া পলাতক অন‌্য দুই আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Sunday, 23 August 2020

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুস শহিদ'র মৃত্যুতে  বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর'র শোক

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুস শহিদ'র মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর'র শোক



ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও এনটিভি’র উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক আব্দুস শহিদ বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ সকাল ১০-৪৫ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাষ্ট্রোলিভার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দূঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মরহুম আব্দুস শহিদ সাংবাদিকতা জীবনে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে এবং সামাজিক অবক্ষয় ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমযোদ্ধা হিসেবে সাংবাদিক সমাজে ছিলেন আদর্শস্থানীয়। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও এনটিভি’র উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে পালন করে গেছেন। আব্দুস শহিদ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও দেশের মানুষ ও সাংবাদিক মহলে চিরন্তন হয়ে থাকবেন। দেশের মানুষ, সুহৃদ এবং সাংবাদিক ভাইদের পাশাপাশি আমিও তার মৃত্যুতে গভীরভাবে সমব্যাথী।

বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় মরহুম আব্দুস শহিদ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজন ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি সমবেদনা জানান।

বার্তা প্রেরক,
(বেলাল আহমেদ)
সহ-দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
দুনিয়া দেখার ইচ্ছে থাকলে এই সুযোগ! এবার দিল্লি থেকে লন্ডন যাওয়া যাবে বাসে

দুনিয়া দেখার ইচ্ছে থাকলে এই সুযোগ! এবার দিল্লি থেকে লন্ডন যাওয়া যাবে বাসে


নিজস্ব প্রতিবেদন- দিল্লি থেকে লন্ডন। তাও আবার বাসে। শুনেই চমকে উঠবেন হয়তো। এও কী সম্ভব! পকেটে টাকা আর মনে ইচ্ছে থাকলে সম্ভব। গুরগাঁওযের অ্যাডভেঞ্চার ওভারল্যান্ড নামের একটি ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেল সংস্থা এবার দিল্লি থেকে লন্ডন পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু করল। শুনে প্রথমে চমকে উঠেছিলেন অনেকেই। এতটা রাস্তা বাসে যাওয়া কী সম্ভব! কতদিন লাগবে যেতে! খরচই বা কত! কোন রুট ধরেই বা যাওয়া হবে! এমনই হাজারো প্রশ্ন হয়তো আপনারও মনে জাগছে। সব প্রশ্নের উত্তরই আছে। ১৫ অগাস্ট এই বাস সার্ভিস-এর ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। এই সংস্থার দুই কর্ণধার তুষার ও সঞ্জয় মাদান এর আগে গত তিন বছর দিল্লি থেকে লন্ডন সড়কপথে গিয়েছিলেন। তাঁরাই এই রোমাঞ্চভরা পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছেন।
দিল্লি থেকে লন্ডনগামী বাস যাবে মোট ১৮টি দেশের উপর দিয়ে। ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, চিন, কিজিঘিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাকিস্তান, রাশিয়া, লাটবিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ফ্রান্স ও ইউনাইটেড কিংডম। বুঝতেই পারছেন, ঘুরতে ভালবাসেন যারা তাদের কাছে এর থেকে ভাল সুযোগ আর আসবে না। ৭০ দিনের এই সফরে থাকবে সবরকম ব্যবস্থা। সংস্থাটি যাত্রীদের বিভিন্ন দেশে ফোর বা ফাইভ স্টার হোটালে থাকার ব্যবস্থা করে দেবে। এছাড়া এই সফরে যাওয়ার জন্য মোট দশটি দেশের ভিসা থাকা জরুরি। যাত্রীদের ভিসার ব্যবস্থাও করে দেবে সংস্থাটি।  
২০টি সিটের এই বাসে থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। ২০ জন যাত্রী ছাড়াও থাকবেন চারজন। ড্রাইভার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ড্রাইভার, অ্যাটান্ডান্ট ও গাইড। একেক দেশে একেকজন গাইড থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি সিট হবে বিজনেস ক্লাসের। এই বাস পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে বাস টু লন্ডন। এবার আসা যাক খরচের ব্যাপারে। বাস টু লন্ডন পরিষেবায় চারটি ক্যাটেগরি থাকবে। কেউ যদি লন্ডন পর্যন্ত না যেতে চান তা হলেও সমস্যা নেই। তিনি কয়েকটি দেশ ঘুরে নিজস্ব উদ্যোগে ফিরে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে একরকম প্যাকেজ ধার্য করা হবে। তবে লন্ডন পর্যন্ত সফর করতে হলে একেকজনের খরচ হবে ১৫ লাখ টাকা। ইমিআই অপশন রয়েছে। যাত্রীরা চাইলে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন। 
তাহিরপুরে আ.লীগের দুই নেতার মধ্যে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

তাহিরপুরে আ.লীগের দুই নেতার মধ্যে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত


তাহিরপুর প্রতিনিধি :সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পল্লীতে আওয়ামী লীগের দুই নেতার লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট নতুন বাজারের সড়ক পাড়ায়।
উভয় পক্ষের গুরুতর আহত ৩০ জনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোলকপুর গ্রামের বাসিন্দা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি আবুল খায়ের ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি, স্থানীয় ইউপি সদস্য একই গ্রামের অমৃতপুরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম এ দুই নেতার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে বালিয়াঘাট নতুন বাজারে আবুল খায়ের শফিকুল ইসলামকে গালিগালাজ করে বাড়িতে চলে যায়। পরে শনিবার দুপুরে আবুল খায়ের বাড়ি থেকে বালিয়াঘাট নতুন বাজারে আসার পথে শফিকুল ইসলামের লোকজন আবুল খায়েরকে বেধড়ক মারপিট করে। বিকালের দিকে শফিকুল ইসলামের পক্ষের সুহেল মিয়া বাজারে আসলে আবুল খায়েরের লোকজন তাকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন বিকাল ৫টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে শফিকুল ইসলামের পক্ষে আহতরা হলেন, সেনাজুল (৩৫), হৃদয় (২৫), কাবিল মিয়া (৪০), কিবির মিয়া (২২), শালমান মিয়া (৩০), দুলাল মিয়া (২৫), আলফাজ উদ্দিন (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৫), সুহেল মিয়া (৪০),কামরুল (৪৫), ফকির আলম (৪৫), মেহেদী (২৩), নবী হোসেন (২০), জাকিল মিয়া (৪৫), হেলাল মিয়া (২৫)।
অপরদিকে আবুল খায়েরের পক্ষের আহত হলেন, আবুল খায়ের (৪৫), উকিল মিয়া (৪০),সেলিম মিয়া (৩৫), সবুজ মিয়া (৩৫), পারভেজ মিয়া (২২), সাজুল মিয়া (৪৫), সাদিকুর (৩০), দিলসাদ মিয়া (৩৫), নবী হোসেন (২০), রফিক মিয়া (৩৫), হাবিবুল (৩০) সাহিবুল (৩৩), রফিক (৪০)।
ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আবুল খায়ের শুক্রবার রাতে মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় আমাকে অকারনে গালিগালাজ করে। বিষয়টি আমার ভাই ভাতিজা শুনতে পেয়ে শনিবার সকালে খায়েরের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে সে উত্তর না দিয়ে অন্য গ্রামের লোকজন দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করিয়েছে।
বিষয়টি অস্বীকার করে আবুল খায়ের বলেন আমি শুক্রবার রাতে শফিকুল ইসলামকে গালিগালাজ করিনি। শনিবার দুপুরে বাজারে আসার পথে তার লোকজন-ই রাস্তায় আটকিয়ে বিনা কারনে আমাকে মারপিট করে এবং দুই লাখ টাকা, মোবাইল ও ডেবিট কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তাহিরপুর অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রথমে টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমিসহ ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে এবং এখনও এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

Saturday, 22 August 2020

পুরনো ডিজাইন বদলে নতুন রূপে আসছে সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্ম ফেসবুক

পুরনো ডিজাইন বদলে নতুন রূপে আসছে সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্ম ফেসবুক




ক্ল্যাসিক বা পুরনো সংস্করণকে বাদ দিয়ে ডেস্কটপের জন্য আসছে ফেসবুকের নতুন সংস্করণ। এখন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থেকে লগ ইন করলে ফেসবুক আপডেট করে নেয়ার জন্য পপ-আপ নোটিফিকেশন পাচ্ছেন প্রায় সব ব্যবহারকারী। যেখানে সেপ্টেম্বরে ক্ল্যাসিক সংস্করণ বিদায়ের বার্তা দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে সব ব্যবহারকারী নতুন সংস্করণের ফেসবুক ব্যবহার করবেন।
পপ-আপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ফেসবুকের নতুন সংস্করণ ব্যবহার করতে পারছেন ব্যবহারকারীরা। এই নতুন সংস্করণে টেক্সটগুলো আরও বড় ও পরিষ্কার দেখাচ্ছে। সেখানে লাইট মুডের পাশাপাশি ডার্ক মুডও ব্যবহারের সুযোগ থাকছে।
পপ-আপ নোটিফিকেশনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে ক্ল্যাসিক সংস্করণকে বিদায় জানাচ্ছে তারা। নতুন সংস্করণে ফেসবুক দ্রুত লোড হবে। এছাড়া থাকবে ডার্ক মুড ব্যবহারের সুযোগ, যার ফলে ব্যবহারকারীর চোখের ওপর চাপ কম পড়বে।


প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো বলছে, ফেসবুকের মোবাইল সংস্করণে এরই মধ্যে ডার্ক মুড চালু আছে। এখন থেকে ডেস্কটপ সংস্করণের ব্যবহারকারীরা চাইলেও নোটিফিকেশন আইকনের পাশে থাকা অপশন থেকে ডার্ক মুড চালু করতে পারবেন।
এছাড়া যারা এখনো ফেসবুকের নতুন সংস্করণ পছন্দ করছেন না, তারা অপশনে গিয়ে পুরনো সংস্করণ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকছে এ সুযোগ। কারণ সেপ্টেম্বর থেকে বিদায় নেবে ক্ল্যাসিক সংস্করণ। এরপর নতুন সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে সবাইকে।
তবে ফেসবুক কীভাবে আরও উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ছাতকে বিজিবির মামলায় গ্রেফতার ৩

ছাতকে বিজিবির মামলায় গ্রেফতার ৩


ছাতকে বিজিবি-পাথর শ্রমিকের সংঘর্ষের ঘটনায় বিজিবি কর্তৃক দায়েরী মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো রতনপুর গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র নিজাম উদ্দিন (২৮), তানজিদ আলীর পুত্র জুয়েল মিয়া (২৪) ও ছোয়াব আলীর পুত্র আল-আলিন (২৫)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন।
স্থানীয়রা জানান, গ্রেফতারকৃরা কেউ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী নয়। ১৮ আগষ্ট ভোর রাতে বাইরং নদী থেকে চোরাই পথে পাথর উত্তোলনে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় পাথর শ্রমিকদের সাথে বিজিবি সদস্যদের সংঘর্ষে ৩ বিজিবি সদস্যসহ অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় নোয়াকোট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল হালিম বাদী হয়ে ছাতক থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুত্রঃ সিলেটভিউ
দলীয় প্রতিক থাকছে না আসছে ইউপি নির্বাচনে : Sunamganj Live

দলীয় প্রতিক থাকছে না আসছে ইউপি নির্বাচনে : Sunamganj Live


ডেস্ক রিপোর্ট।
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলিয় প্রতীক না দেয়ার কথা আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে সবাই ঐক্যমত হয়েছেন। কিন্তু সংসদে আইন পাস করা লাগবে। জানুয়ারী মাসের ১০ তারিখে সংসদ বসবে, মার্চ মাসে ইউ,পি, নির্বাচন তাই সংসদে পাস করে নিবেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামীলীগ সরকার তৃণমুলে আর দলিয় কোন্দল সৃস্টি করতে রাজি নয়। কারন দলিয় নোমিনেশন দিলে দলের বিদ্রহী প্রার্থী সমস্যা করে, এই ভাবে সারা দেশে দলের ভিতরে সাংগঠনিক অব কাঠামো ভেংগে যাচ্ছে। তাই সামাল দিতে সরকার কঠিন সমস্যায় পরে, এই কারনে এবার দলিয় প্রতীক আর না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার।
অন্য দিকে ইউ,পি, নির্বাচনে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যে কথা রটানো হচ্ছে তা গুজব বলে স্থানিয় সরকার মন্ত্রনালয় বলেছেন। কারন সরকার এই ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেন নাই।
মুল কথা তৃণমুল থেকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। দলিয় প্রার্থী আর দেয়া হবেনা বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবং আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতারা ঐক্য মত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজকের বৈঠকে।
কৈতক হাসপাতালে হচ্ছে ট্রমা সেন্টার, উদ্যোগ এমপি মানিকের : Sunamganj Live

কৈতক হাসপাতালে হচ্ছে ট্রমা সেন্টার, উদ্যোগ এমপি মানিকের : Sunamganj Live


সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে কৈতক হাসপাতালের ভিতরে একটি ট্রমা সেন্টার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই এর ভিত্তিরস্তর স্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হবে। এতে ডাক্তার ও নার্সদের জন্য দুটি কোয়ার্টারসহ ট্রমা সেন্টারের জন্য দুটি ভবন নির্মাণ করা হবে।
যার উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক।  হাওরবাসীর কাছে তিনি নিজেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাতে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় এমপি মানিক বলেন, সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত নিহত হচ্ছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য এই ট্রমা সেন্টার। এটি দেশের আরো কয়েকটি স্থানে রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক নেতা লতিফুর রহমান রাজু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা মোশাহিদ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার হোসেন আনু, আমিরুল হক, যুবলীগ নেতা সায়েম, সুমন, মুহিব, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসকাওয়াত জামান ইন্তি প্রমুখ।
চলছে এইসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রস্তুত মন্ত্রণালয়

চলছে এইসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রস্তুত মন্ত্রণালয়

সুনামগঞ্জ লাইভ ডেস্ক::২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বা এইচএসসি পরীক্ষা প্রতিবছরের ন্যায় এপ্রিল মাসেই হওয়ার কথা ছিলো। করোনা ভাইরাসের কারণে তা অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে যায়। এতোদিন পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর এখন পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন। খবর ভয়েচে ভেলে বাংলার।এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘‘সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকে কথা বলেছেন। সেখানে মূখ্য সচিব ছিলেন এবং আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিনজন সচিব ছিলাম। সেখানে নেয়া সিদ্ধান্তের আলোকেই আমি পিএসসি পরীক্ষা না নেয়ার পক্ষে আজ (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মতামত পাঠিয়েছি। আর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না নেয়ার জন্যও মতামত পাঠানো হচ্ছে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা হবে। সেটা দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে নেয়া যায় তার সারসংক্ষেপ তৈরি হচ্ছে। পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে৷ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এনিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হবে। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা না হলেও স্কুলগুলো খোলার পর নিজেরা সমাপনী পরীক্ষা নিতে পারবে।’’মহামারি করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে হানা দেয়ার আগে বাংলাদেশে মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি)  আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ফল প্রকাশও হয়েছে৷ কিন্তু এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় জেএসসি (জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা) এবং এইচএসসি পরীক্ষা আটকে গেছে।গত ১২ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছে। সেই সব পরামর্শ নিয়ে কাজ হচ্ছে৷ কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি৷ কোনো পরীক্ষার তারিখও নির্ধারণ হয়নি।রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকার ইকবালুল বাশার খানের দুই সন্তানের একজন জেএসসি এবং আরেকজন এইএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি জানান, ‘‘যদি সামাজিক দূরত্ব মেনে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা সরকার নিতে পারে তাহলে পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা আগে প্রকাশ করা উচিত৷ আর এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ঠিক হবে না।’’অন্যদিকে অভিভাবকদের অনেকেই বলছেন, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও তারা সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে পাঠাবেন না৷ অভিভাবক ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ‘‘করোনার সংক্রমণ এখনও কমেনি৷ তাই কোনোভাবেই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন খোলার পক্ষে নয়৷ বিশেষ করে যারা শিশু তারা তো সামাজিক দূরত্বই বোঝে না৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি৷’’তবে জিয়াউল কবির দুলু মনে করেন করোনা সংক্রমণ কমে এলে নভেম্বরের দিকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে৷ আর পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা নেয়ার দরকার নাই৷
ছবি: ইন্টারনেট


সাবেক স্বামী শাকিবকে নিয়ে যেখানে আবেদন করবেন অপু বিশ্বাস

সাবেক স্বামী শাকিবকে নিয়ে যেখানে আবেদন করবেন অপু বিশ্বাস

 

ক্যারিয়ারে যত ছবি করেছেন অ’পু বিশ্বা’স, বেশিরভাগ ছবিতেই তার নায়ক শাকিব খান। একসাথে ৭২টি ছবিতে কাজ করেছেন তারা। এত সংখ্যক ছবিতে একসাথে কাজ করার রেকর্ড কোনো দেশের নায়ক-নায়িকার নেই। তাই নিজেদের জুটির নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড লিখতে চান অ’পু বিশ্বা’স। এ জন্য আবেদনও করেবেন ঢালিউড কুইন।

অ’পু বিশ্বা’স বলেন, ‘একসাথে আম’রা ৭২টি ছবিতে জুটি হয়ে কাজ করেছি। এত সংখ্যক ছবিতে কাজ করার রেকর্ড অন্য কোনো দেশে অন্য কোনো নায়ক-নায়িকার নেই। যা শুধুমাত্র আমাদের দখলে। তাই ‘শাকিব-অ’পু’ জুটির নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে রাখতে আমি আবেদন করব।’

শাকিবের বিষয় অ’পু বলেন, ‘আমা’র ক্যারিয়ারের হিট-সুপারহিট ছবিগুলোর নায়ক শাকিব। শাকিব আর আমা’র জুটিটা দর্শকরা বেশ ভালো’ভাবেই গ্রহণ করেছিল। সে কারণেই এখন পর্যন্ত আমাদের এ জুটিটা জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। আর আমাদের ছবির সংখ্যা হিসেব করলে এখনো শীর্ষে রয়েছে শাকিব-অ’পু জুটি।’

প্রসঙ্গত, অ’পু বিশ্বা’স ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘কাল সকালে’ চলচ্চিত্রে অ’ভিনয়ের মাধ্যমে অ’ভিনয় জীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে এফআই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকা হিসাবে অ’ভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে। এরপর অ’পু বিশ্বা’স ৭২টিরও অধিক চলচ্চিত্রে শাকিব খানের বিপরীতে অ’ভিনয় করেছেন।

২০০৮ সালে গো’পনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব-অ’পু। এরপর ২০১৭ সালে বিচ্ছেদের আগ পর্যন্ত শাকিব ছাড়া কোনো ছবিই করেননি অ’পু। মাঝে চিত্রনায়ক মান্নার বিপরীতে তিনটি ছবিতে কাজ করেছিলেন অ’পু। শাকিব-অ’পুর ঘরে আব্রাহাম খান জয় নামে একমাত্র ছে’লে সন্তান রয়েছে।

এদিকে অ’পু বিশ্বা’স অ’ভিনীত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ নামে একটি ছবি মুক্তির অ’পেক্ষায় আছে। এতে অ’পুর বিপরীতে অ’ভিনয় করেছেন বাপ্পী চৌধুরী।

পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের বর্বরতা : Sunamganj Live

পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের বর্বরতা : Sunamganj Live

 

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি

দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের বর্বরতায় পঙ্গু হয়েছেন দিনমজুর। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নে। রইছপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র আহত সমশের আলী বাদি হয়ে গত ১৭ আগস্ট সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দোয়ারাবাজার থানাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। জানা যায়, গত ১ আগস্ট ঈদের দিন রাতে গাজীনগর গ্রামের মসজিদের ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় সমসের আলী (৩০) নামের এক যুবককে ২ থেকে আড়াই শ’ বেত্রাঘাত করেন পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ। মারধরের এক পর্যায়ে সমসের আলীর বাম হাতের কবজি ভেঙ্গে যায়। এরপর চেয়ারম্যান সমসের আলী কে বেঁধে নিয়ে আসেন বাসায় (ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে)। চলে আবারও বেত্রাঘাত। সারারাত আটকে রাখা বাথরুমের ভেতরে। পরের দিন সকালে সমসের আলী কে ছেড়ে দেন চেয়ারম্যান। পরিবারের লোকজন সমসের আলীকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনদিন পর তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।
গত ১৭ আগস্ট মারধরের অভিযোগে চেয়ারম্যান সহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা তরেন সমসের আলী। মামলাটি দোয়ারাবাজার থানাকে আমলে নিয়ে রেকর্ড করার জন্য আদেশ প্রদান করেন আদালত।
মামলার বাদি সমসের আলী জানান, যে দিন আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রাম গাজীনগরের মসজিদের ব্যাটারী চুরি হয় সেদিন আমি ভোলাগঞ্জে কাজে ছিলাম। ঈদের দিন চেয়ারম্যান গ্রামের লোকজন পাঠিয়ে আমাকে মসজিদে আসার জন্য বলেন। আমি আসার পর চেয়ারম্যান নিজেই রশি দিয়া হাত বেঁধে ফেলেন। পরে তিনি ২ আড়াই শ’ বার বেত মারেন আমাকে। যখন আমার একটা হাত ভেঙ্গে যায় তখন আমি চিৎকার দিয়া বলতেছি আমারে আর মাইরেন না আমি মরে যাব। এরপরও আমাক বেদম মারতে থাকেন চেয়ারম্যান। এরপর চেয়ারম্যানের বাসায় নিয়ে দরজা বন্ধ করে আরেক বার মেরে আমাকে বাথরুমের ভেতরে সারা রাতা বন্দি করে রাখেন। আমার হাতের ব্যাথা সহ্য করতে পারছিলাম না। কান্নাকাটি করলে তিনি আমার মুখে চাপ দিয়ে ধরে থাকেন। যেন আমি কান্নাকাটি করতে না পারি। খাবার পানি চাইলে চেয়ারমান বলেন, প্রশ্রাব করে ভেয়ে নে, পানি পাবি না। আমাকে সারা রাত একটু পানি খেতেও দেয়া হয়নি। আমার অবস্থা খারাপ দেখে সকালে চেয়ারম্যান বাথরুম থেকে বের করে ছেড়ে দেন।
ভোলাগঞ্জে সমসের আলীর সাথে দিন মজুরের কাজে থাকা গাজীনগর গ্রামে তফুর আলী বলেন, যেদিন আমাদের গ্রামের মসজিদের ব্যাটারী চুরি হয়েছিল সেইদিন আমরা একসাথে কাজে ছিলাম।
পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, সে আগে থেকেই চুরি করত। সে কারণে তাকে গ্রামের লোকজন ডেকে এনে জিজ্ঞেস করেছিলাম। আমাদের গ্রামের লোকজন সমসের আলীকে মারধর করতে চাইছিলেন, আমি মারতে দেইনি। আমি কয়েকটা চড়থাপ্পড় মরছি। রাতে ছেড়ে দেইনি কারণ পরিবারের লোকজন যদি গুম মামলা করে সেজন্য।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, যদি সে চুরি করেই থাকে তাহলে তাকে এভাবে মারতে পারেন না চেয়ারম্যান। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। চুরি করলে তাকে আইনের হাতে তুলে দিতে পারতেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Wednesday, 19 August 2020

সিলেট-সুনামগঞ্জে সড়কের বেহাল অবস্থা : Sunamganj Live

সিলেট-সুনামগঞ্জে সড়কের বেহাল অবস্থা : Sunamganj Live

সিলেট :আমবাড়ী বাজার এলাকায় এলজিইডি সড়কের ধসে যাওয়া অংশ : সুনামগঞ্জ লাইভ
 


সিলেটে তিন দফা বন্যায় এবার গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে সড়কের চিহ্ন মুছে গেছে। স্থানে স্থানে গর্তে ভরা সড়ক। বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটের ভাঙনের দাগ স্পষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট দুই জেলায় ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। বিভিন্ন পাকা, আধাপাকা ও ব্রিক সলিং সড়ক, সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেসে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আগে বন্যা হলে বাধাহীনভাবে পানি ভাটির দিকে নেমে যেত। প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা হারিয়ে যাওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও বেশি। তারা বলেন, বন্যার ভয়াবহতা ও পানি নিষ্কাশনের সহজ পথের কথা না ভেবেই রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট তৈরি করা হয়। ফলে নির্মিত অবকাঠামোর ক্ষতি বাড়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেটে এলজিইডির আওতাধীন ৭ হাজার ৫১০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৫২১ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়। এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ জানান, সিলেট জেলায় মোট ৫২১ কিলোমিটার সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২৬০ কোটি টাকা।

সুনামগঞ্জ জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, গ্রামীণ রাস্তাঘাট যে হারে ভেঙেছে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়ক বিভিন্ন স্থানে ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ জেলার ২২টি সড়কে ৬০০ কিলোমিটার সড়ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ৪০টি ব্রিজ-কালভার্ট, ৩০টি ভিলেজ প্রটেকশন কাজ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সিলেটস্থ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী হোসেন চৌধুরী সোমবার ইত্তেফাককে বলেন, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সুনামগঞ্জ ও সিলেটের রাস্তাঘাট আপাতত চালুর বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে কথা হয়েছে। এ পর্যায়ে ২০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। তিনি বলেন, মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জের জন্য আলাদা প্রজেক্ট করতে বলা হয়েছে। আমরা সেই চেষ্টা করছি। সুুনামগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ কোটি ও সিলেট জেলায় ২৬০ কোটি টাকার ক্ষতি বলে প্রাথমিক ধারণা করা হয়।

সড়ক সংস্কারের দাবিতে সিলেট চেম্বারের চিঠি

এদিকে, সিলেট-বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক সংস্কারের দাবিতে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে সিলেট চেম্বার পত্র প্রেরণ করেছে। চেম্বার সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব লিখেছেন, সড়কটির বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর অংশের প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে যানচলাচলের অনুপযোগী।

Tuesday, 18 August 2020

বিএনপি নেতা নুরুল হক আফিন্দী কেক কেটে উদযাপন করলেন শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী

বিএনপি নেতা নুরুল হক আফিন্দী কেক কেটে উদযাপন করলেন শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী

জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এর  স্থগিত কমিটির সভাপতি জনাব নূরুল হক আফিন্দীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তে কেক কেটে উদযাপন করলেন ।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ  প্রকাশ করেছেন । 

সবার একই প্রশ্ন এইরকম লিয়াজো করে, সরকার পক্ষের সাথে সম্পর্ক ঠিক রেখে কিভাবে জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এর অভিভাবক হিসেবে  নিজেকে দাবি করেন। 

 সবাই দাবি করেছেন - এইরকম নেতাকে বিএনপি থেকে বয়কট করা হউক।

জামালগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প : Sunamganj Live

জামালগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প : Sunamganj Live

 

মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, জামালগঞ্জ ::
কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে জামালগঞ্জ উপজেলার মৃৎশিল্প। বিভিন্ন সমস্যার কারণে আজ সঙ্কটের মুখে এই শিল্প। সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রায় শত বছরের ঐতিহ্য বহন করা বেহেলী ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করায় মেলামাইন ও প্লাস্টিকের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি মৃৎশিল্পীদের সাংসারিক বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার্য বস্তু।

বিজ্ঞানের জয়যাত্রা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নে নতুন নতুন শিল্প সামগ্রীর প্রসারের কারণে বাজার অনুকূলে না থাকায় এই শিল্প আজ হুমকির মুখে। একদিকে উন্নত প্রযুক্তি, মেলামাইন সামগ্রীর সাথে প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে করোনার লগডাউনের কারণে বাংলা নববর্ষের মেলা, পণতীর্থ মেলা না হওয়ায় বিক্রি করতে পারেননি তাদের তৈরি খেলনা ও তৈজসপত্র। তাই প্রতিটি ঘরে ঘরে কার্টুন ভর্তি করে রেখে দেওয়া হয়েছে তাদের কষ্টার্জিত তৈরি আসবাবপত্র।

উপজেলার বদরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এই গ্রামের অধিকাংশ লোকই পাল সম্প্রদায়ের। একসময় এই গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত ছিল। আধুনিকতার ছুঁয়া ও কালের পরিক্রমায় এখন মাত্র শতাধিক পরিবার তাদের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পেশা অনেক কষ্টের মাঝেও ধরে রেখেছেন। বর্তমানে তাদের অবস্থা খুবই নাজুক।

বদরপুর গ্রামের মৃৎশিল্পী পুষ্প রাণী পাল, আরতি রানী পাল, সবিতা রানী পাল, অনামিকা পাল, অখিল চন্দ্র পাল, আশা রানী পাল, জিতেন্দ্র চন্দ্র পাল, সঞ্চিতা রানী পাল জানিয়েছেন, একসময় মাটির তৈরি হাড়িপাতিল, কলসি, রঙিন ফুলদানি, ফুলের টব, হাতি-ঘোড়া, নানা রঙের পুতুল ও বিভিন্ন সামগ্রী আমরা প্রতিটি বাড়িতে তৈরি করতাম। আর পুরুষরা বিভিন্ন হাটবাজার, মেলা ও বিভিন্ন পূজায় তা বিক্রি করতেন। তাতে আমরা অনেক লাভবান হতাম। তখন সংসারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হতো। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক মেলামাইন ও অ্যালুমিনিয়ামের চাপে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। তার ওপর মড়ার ওপর খারার ঘা হিসেবে করোনার লকডাউনে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের আয় নেই বললেই চলে। নিদারুণ কষ্টে চলছে দিনকাল। এই পরিস্থিতিতে পাল সম্প্রদায় পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই গ্রামের মৃৎশিল্পী পুষ্প রানী পাল বলেন, এই পেশায় নেই কোনো সরকারি সহায়তা। ব্যাংক ঋণ বা অন্য কোনো সহযোগিতা। তাই বাধ্য হয়েই ঘুটিয়ে নিতে হচ্ছে আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যবা পেশা। গ্রামের অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
মৃৎশিল্পী জিতেন্দ্র চন্দ্র পাল বলেন, বর্তমানে মাটির দাম, লাকড়ি, রঙ ও আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় তৈরিতে খরচ অনেকটা বেড়ে গেছে। আমরা এখন এই পেশা ধরে রাখতে পারব কি না সংশয়ে আছি।

তিনি আরও জানান, বিসিক ব্যাংক বা অন্যকোনো সংস্থা যদি স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে সহযোগিতায় এগিয়ে আসত তাহলে বাপদাদার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প ধরে রাখা সম্ভব। নতুবা আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাবে আমাদের এই পেশা।